ধৃত: মনজুর আলম মণ্ডল
বাপের বাড়ি থেকে দাবিমতো টাকা আনতে না-পারায় এক তরুণীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে হাবড়ার দক্ষিণ সরাই দরগাতলার বাসিন্দা তানিয়া বিবি (২১) নামে ওই তরুণীর দেহ তাঁর ঘর থেকেই উদ্ধার করেন বাপের বাড়ির লোকেরা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিকেলে পুলিশ মৃতার স্বামী মনজুর আলম মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই তরুণীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে মনজুর-তানিয়ার বিয়ে হয়। দম্পতির একটি শিশুকন্যা রয়েছে। তানিয়ার বাপের বাড়ি হাবড়ার আনোয়ারবেড়িয়ায়। মনজুর আদতে দত্তপুকুরের বাসিন্দা। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে দম্পতি দক্ষিণ সরাই দরগাতলায় বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। তানিয়ার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়েতে সোনার গয়না, আসবাবপত্র এবং নগদ ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও আরও টাকা নিয়ে আসার জন্য তানিয়ার উপর অত্যাচার চালানো হতো শ্বশুরবাড়িতে। এমনকী মনজুর স্ত্রীকে বারবার আত্মহত্যাতেও প্ররোচনা দিতেন। মনজুরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়েও সংসারে অশান্তি চলছিল বলে অভিযোগ।
শুক্রবার সকালে দক্ষিণ সরাই দরগাতলায় মেয়ের পড়শিদের থেকে তানিয়ার মৃত্যুর খবর পান তাঁর বাবা সুরাট আলি মণ্ডল। ছেলে ইসলাম মুন্সিকে নিয়ে তিনি সেখানে যান। ইসলাম বলেন, ‘‘গিয়ে দেখি, বোনে দেহ খাটে শোয়ানো। আমরা হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। বোনের গলায় কোনও ফাঁসের চিহ্ন ছিল না।’’ থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ জানালেও এটা খুনের ঘটনাও হতে পারে বলে সন্দেহ ইসলামদের। ইসলাম বলেন, ‘‘স্বামীর অন্য সম্পর্কের কথা বোন জানতে পেরেছিল। প্রতিবাদ করলে মনজুর ওকে মারধর করতো। এ নিয়ে কয়েকবার সালিশিও হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy