প্রতীকী ছবি
তিন বছরের সন্তানের সামনেই মুখে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, বিয়েতে পণ নেওয়ার পরেও শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে নিয়মিত টাকা চাইত তাঁর জামাই। সেই টাকা দেওয়াও হত। এর পরে শ্বশুরবাড়ির জমিও দাবি করেছিল সে। ওই জমি জামাইয়ের নামে লিখে না দেওয়ার ফলেই সে তাঁর মেয়েকে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ শাশুড়ির। এই ঘটনায় নির্যাতিতা তরুণী স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সাত জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার সোহায়ের গাঙআটি এলাকায়। তরুণীর স্বামী অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।স্থানীয় সূত্রের খবর, মধ্যমগ্রাম থানার সাঁঝিরহাটের স্কুলশিক্ষক তৌহিদ হোসেনের একমাত্র মেয়ের সঙ্গে ২০১৩ সালে গাঙআটির মাদ্রাসা শিক্ষক আসগর আলির বিয়ে হয়। তাঁদের তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে। তৌহিদের অভিযোগ, ‘‘বিয়েতে নগদ টাকা ও গয়না দেওয়ার পরেও জামাই মেয়েকে মারধর করত। ওদের দাবিমতো জিনিসপত্র কিনে দিয়েছিলাম। আরও টাকাও দেওয়া হয়েছিল। তাতেও অত্যাচার বন্ধ হয়নি।’’ শাবানা সুলতানা নামে ওই তরুণীর মা তানজিরা বিবি সোমবার বলেন, ‘‘আমার নামে দেগঙ্গায় ১১ শতক জমি রয়েছে। সেই জমিও জামাইয়ের নামে লিখে দিতে হবে দাবি করে ফের মেয়ের উপরে অত্যাচার শুরু হয়।’’ শাবানার অভিযোগ, ‘‘জমি নাতির নামে লিখে দেবে বলেছিল মা। কিন্তু আমার স্বামী চায়, শুধুমাত্র ওর নামেই জমি লিখে দেওয়া হোক।’’ পুলিশকে তরুণী জানিয়েছেন, তাতে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার রাতে ছেলের সামনেই বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে স্বামী ও
শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy