নিকাশি বেহাল। —নিজস্ব চিত্র।
প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন ডায়মন্ড হারবার পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখতে পুরকর্তৃপক্ষ বাড়তি শ্রমিক নিয়োগ নিয়োগ করেছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয় বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিরোধীদের দাবি, পুরসভা দখলদারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারছে না। সিপিএএমের ডায়মন্ড হারবার জোনাল কমিটির সদস্য দেবাশিস ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘‘কিছু বাড়তি শ্রমিক দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছে পুরসভা।’’
দখলদার প্রসঙ্গে পুরপ্রধান মীরা হালদার বলেন, ‘‘দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা পুরসভার নেই। তাই দখলদার সরাতে প্রশাসনের কাছে বহুবার আবেদন করা হয়েছে।’’
স্টেশন বাজার থেকে শুরু করে রাজার তালুক পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকায় নিকাশির উপরে বেআইনি নির্মাণ রয়েছে। তার জেরে সাগরিকার পিছন দিকে এবং নগেন্দ্র বাজারের কাছে নালা সরু হয়ে যাওয়ায় জল যাচ্ছে না। একই রকমভাবে মঞ্জিতা থেকে লালপোল এলাকা পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশের খাল বুজে গিয়েছে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাটা পাম্পের পিছনে কালীমন্দির লাগোয়া খালে দেখা গেল, কচুরিপানা, মাছ ধরার জাল ও জঞ্জালে জলের গতি রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ জন শ্রমিক রয়েছে। নিকাশি নালা পরিষ্কার করার জন্য আরও প্রায় ২৫ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে।
২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর কৃষ্ণা বৈদ্য বলেন, ‘‘শ্রমিক দিয়ে জঞ্জাল সরানোয় সমস্যা কিছুটা মিটেছে। তবে খালের উপর থেকে দখলদারি সরানো খুবই জরুরি।’’ বেআইনি নির্মাণের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের এসডিও শান্তনু বসু। তিনি বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখন যাতে জল বেরিয়ে যায়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এলাকায় ত্রাণ বিলি করার পরিস্থিতি আসেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy