উদ্ধার: চুরি হওয়া পাইপ। নিজস্ব চিত্র
পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্পের পাইপ চুরির একটি আন্তঃরাজ্য চক্রের হদিস পেল বনগাঁ থানার পুলিশ। পাঁচ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম হাবিবুর রহমান ওরফে পিন্টু, নাজিম শেখ, হাসান শেখ, হুমায়ুন শেখ ও গিরিশ পান্ডে। দিন কয়েক আগে বনগাঁ থেকে হাবিবুরকে ধরা হয়। গিরিশকে ধরা হয়েছে লিলুয়া থেকে। সে একটি গোডাউনের ম্যানেজার। বাকি তিনজন ধরা পড়েছে মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার ভগবানগোলা এলাকা থেকে। ধৃতদের মধ্যে চারজন আপাতত পুলিশি হেফাজতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চক্রটি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা থেকে জল প্রকল্পের পাইপ চুরি করছিল। পুলিশের তরফে অভিযান চালানো হলেও এত দিন বিষয়টি অধরা ছিল।
বনগাঁ থানার আইসি সতীনাথ চট্টরাজ জানান, ধৃতদের জেরা করে পুলিশ বনগাঁ থেকে চুরি হওয়া পাইপের সন্ধান পায়। সেই মতো শুক্রবার অভিযান চালিয়ে পুলিশ লিলুয়া থানার কোনা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে একটি গোডাউন থেকে ৫৭৭টি চুরি যাওয়া পাইপ উদ্ধার করেছে। যার বাজারদর প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। চক্রের বাকিদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন আইসি।
পুলিশ ও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বনগাঁ শহর এলাকা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার জলের পাইপ লাইন চুরি হয়। ‘আম্রুত’ প্রকল্পে বনগাঁ শহরের বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য পুরসভা পাইপ কিনেছিল। পুরসভার তরফে থানায় অভিযোগ করা হয়।
তদন্তে নেমে বনগাঁ থানার পুলিশ আলাদা দল গঠন করে। দুষ্কৃতীদের কয়েকজনের মোবাইলের সূত্র ধরে তদন্ত এগোয়। পাইপ চুরির ঘটনায় কয়েক জনের নাম পান তদন্তকারীরা। কিন্তু অভিযান চালিয়েও কাউকে ধরা যায়নি। সম্প্রতি হাবিবুর বনগাঁয় চুরি করতে আসে। সঙ্গে মাদকও পাচার করছিল সে। পুলিশ সে সময়ে তাকে ধরে ফেলে। তাকে জেরা করে কিছু তথ্য তদন্তকারীদের হাতে আসে। তারপরেই একের পর এক গ্রেফতার হয় বাকিদের। উদ্ধার হয় পাইপগুলিও। শনিবার সকালে তা বনগাঁ থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারকে সঙ্গে করে গোডাউনে নিয়ে যান। তিনিই শনাক্ত করেন পাইপ।
গোডাউন থেকে পুলিশ পাইপে রং করার মেশিন, রং, কেমিক্যাল ও পাইপ ওঠানোর মেশিনও উদ্ধার করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, চুরি করার পরে চক্রের লোকজন পাইপের রং তুলে অন্য চেহারা দিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy