Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরেও আতঙ্কে থাকি

গাইঘাটা ব্লকের আংরাইল, বেড়ি ঝাউডাঙা বর্ণবেড়িয়া-সহ সীমান্তবর্তী এলাকার ব্যবয়াসীরা রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরে শান্তিতে ঘুমতে পারছেন না। বাড়ির লোকেরাও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সম্প্রতি আংরাইল বাজার এলাকায় রাতে দুষ্কৃতীরা এসে পরপর কয়েকটি দোকানের তালা ভেঙে নগদ টাকা, সোনার গয়না ও জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গিয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গাইঘাটা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৭ ০২:১৮
Share: Save:

কখনও রাতে দোকানের তালা ভেঙে চুরি হচ্ছে। আবার কোথাও দিনের বেলাতেই শিক্ষককে মারধর করে চম্পট দিচ্ছে। চোরাপথে ইছামতী নদী পেরিয়ে এ দেশে ঢুকে প্রায়ই তাণ্ডব করে পালাচ্ছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা।

গাইঘাটা ব্লকের আংরাইল, বেড়ি ঝাউডাঙা বর্ণবেড়িয়া-সহ সীমান্তবর্তী এলাকার ব্যবয়াসীরা রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরে শান্তিতে ঘুমতে পারছেন না। বাড়ির লোকেরাও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সম্প্রতি আংরাইল বাজার এলাকায় রাতে দুষ্কৃতীরা এসে পরপর কয়েকটি দোকানের তালা ভেঙে নগদ টাকা, সোনার গয়না ও জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। ওই এলাকারই একটি বাড়িতেও চুরি হয়েছে। স্থানীয় একটি স্কুলের এক শিক্ষককে রাতে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বেড়ি এলাকার এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর বাড়িতেও চুরি হয়। এক স্কুল পড়ুয়ার কথায়, ‘‘দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের সন্ধ্যার পরে বাড়ির থেকে বেরোতে ভয় হয়।’’

বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের ঢোকা বন্ধ করতে দু’বার বিএসএফ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকেও সীমান্ত এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে।’’

আংরাইল ঝাউডাঙা এলাকাটিতে এমনিতেই গরু পাচার বেশি হয়। রাতে বাংলাদেশি পাচারকারীরা এ দেশে সরাসরি ঢুকে গরু নিয়ে যায়— এমনটিও শোনা যায়। বছর কয়েক আগে বাড়ির উপর দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করলে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা কুপিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা তথা আরপিএফ জওয়ানকে খুন করেছিল। প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন এলাকার মানুষ। এরপরে বিএসএফ ও পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের ঢোকা বন্ধ করা হবে। কিছু দিন এই সমস্ত দুষ্কৃতীদের উপদ্রব বন্ধও ছিল। কিন্তু ফের তাদের আনাগোনা শুরু হয়েছে।

এলাকার মানুষ ও পুলিশের একাংশ মনে করছে, গরু পাচার কমে যাওয়ায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা এখন চুরিতে হাত পাকাচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় সর্বত্র কাঁটাতার নেই। এর ফলেও তাদের যাতায়াত করতে সুবিধে হচ্ছে। সীমান্তে বিএসএফ রয়েছে। এরপরেও কী ভাবে দুষ্কৃতীরা ঢুকতে পারে, তা নিয়ে বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলছেন। গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ধ্যানেশনারায়ণ গুহ বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের আসা বন্ধ করতে বহুবার বিএসএফ ও পুলিশকে বলা হয়েছে। ফের বলা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE