প্রতীকী ছবি।
গ্রামে দিনমজুরি করে সংসার চলছিল না। তাই বাড়তি রোজগারের আশায় মাস কয়েক আগে গ্রাম ছেড়ে বেঙ্গালুরু চলে যান হাসনাবাদের কয়েকজন শ্রমিক। লকডাউনের জেরে সেখানেই আটকে পড়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, ঠিকমতো খাবার জুটছে না। মুড়ি, চিঁড়ে খেয়েই কাটাতে হচ্ছে বেশির ভাগ দিন। হাসনাবাদের বিশপুর গ্রাম থেকে কয়েক মাস আগে বেঙ্গালুরুর বঙ্গালি থানা এলাকায় একটি ক্যান্টিনে কাজে যান প্রায় ২৭ জন। সেখানে আটকে পড়া পলাশ বেরা, শরদিন্দু মাইতি, দেবলাল জানা, সুবল সরকাররা জানান, গ্রামে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চলছিল না। তাই কয়েক মাস আগে সংসারের হাল ফেরাতে বেঙ্গালুরুতে ক্যান্টিনের এসেছেন। কেউ আনাজ কাটার কাজ করেন। কেউ করেন রান্নার কাজ। মাসে ৮-১২ হাজার টাকা রোজগার। সব খরচ মিটিয়েও হাতে সামান্য কিছু থাকিল। কিন্তু লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ক্যান্টিন বন্ধ। জমা টাকা প্রায় শেষ। কারওর কাছে ৫০, তো কারওর কাছে ১০০ টাকা পড়ে রয়েছে। মাঝে মধ্যে কেউ এসে খাবার দিয়ে যায়। না হলে ওই টাকাতেই চিঁড়ে, মুড়ি যা পাচ্ছেন কিনে খেতে হচ্ছে। পলাশ, দেবলালরা ফোনে বললেন, ‘‘জানি না আর কত দিন এভাবে থাকতে হবে। আমরা বাড়ি ফিরতে চাই। আর পারছি না এ ভাবে থাকতে।’’ শ্রমিকরা জানান, টাকা না থাকায় বাড়ি ভাড়ার চার হাজার টাকা শোধ করতে পারেননি। দ্রুত ভাড়া না দিলে বাড়িতে থাকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বাড়িওয়ালা। মালিকপক্ষ কোনও ভাবে সাহায্য করছেন না বলে অভিযোগ তাঁদের। এমনকী, মালিকের কাছে কিছু টাকা পাওনা রয়েছে। তা-ও মেটানো হচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy