হাসপাতালে সেই যুবক। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
চিকিৎসাধীন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে হেনস্থার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গড়ল বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল। রবিবারের সকালের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে এক আয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও তিনি হাসপাতালের কর্মী নয়। এই ঘটনায় হাসপাতালের কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেন হাসপাতালের সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো। তিনি বলেন, ‘‘এমন ঘটনা সমর্থন করা যায় না। তিন সদস্যদের কমিটি করা হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’ হাসপাতাল সুপার এ দিন নিজেও ওই যুবকের সঙ্গে দেখা করে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন।
এ দিকে, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবকের বাড়ি তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করেছে হ্যাম রেডিয়ো ক্লাব। ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিয়ো ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাসের দাবি, ওই যুবকের নাম সানিকুমার তহ। তাঁর বাড়ি বিহারের কাটিহার জেলায়। ছবি দেখে বাড়ির লোকেরা তাঁকে সনাক্ত করেছেন। শীঘ্রই তাঁকে বাড়ি থেকে নিতে আসবেন তাঁরা। রবিবার সকালে হাসপাতালের ডায়েরিয়া ওয়ার্ড থেকে ওই যুবককে বের করে দেয় কিছু হাসপাতাল কর্মী ও আয়া। রোগীর আত্মীয়দের চাপে শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাঁকে ওয়ার্ডে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে কর্ত্যবরত আয়াদের দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা দীর্ঘদিন ধরেই সরব। তাঁদের গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে আগে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ পেলে আয়াদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। কাজ থেকে বসিয়েও দেওয়া হয়। অভিযোগ, তারপরেও তাঁদের দৌরাত্ম্য কমে না।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের অভিযোগ, আয়ারা এতটাই জোটবদ্ধ যে, তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খোলা যায় না। একজন আয়া এক সঙ্গে পাঁচ-ছ’জন রোগী দেখভালের ভার নেয়। ফলে কোনও রোগীর দিকেই নজর দিতে পারেন না তাঁরা। আয়াদের জন্যই আত্মীয়েরা পর্যন্ত রোগীদের সঙ্গে রাতে ওয়ার্ডে থাকার সুযোগ পান না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy