Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
কামারহাটি

ভোট-ছুটির আগেই ব্যাঙ্ক বন্ধ, দুর্ভোগ

ভোটের দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকতে পারে। এই আশঙ্কায় আগের দিন ব্যাঙ্কে এসেও কোনও লাভ হল না গ্রাহকদের। ব্যাঙ্কে ঢোকার মূল গেট বন্ধ। তাতে নোটিস ঝোলানো—নির্বাচনের জন্য দু’দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ। যার জেরে শুক্রবার সকাল থেকে ভোগান্তি পোহাতে হল কামারহাটির স্টেট ব্যাঙ্কের কয়েক হাজার গ্রাহককে। যদিও এ বিষয়ে নির্বাচনের জন্য কয়েক জন কর্মী কম থাকার যুক্তি ছাড়া তেমন কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৩
Share: Save:

ভোটের দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকতে পারে। এই আশঙ্কায় আগের দিন ব্যাঙ্কে এসেও কোনও লাভ হল না গ্রাহকদের। ব্যাঙ্কে ঢোকার মূল গেট বন্ধ। তাতে নোটিস ঝোলানো—নির্বাচনের জন্য দু’দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ। যার জেরে শুক্রবার সকাল থেকে ভোগান্তি পোহাতে হল কামারহাটির স্টেট ব্যাঙ্কের কয়েক হাজার গ্রাহককে। যদিও এ বিষয়ে নির্বাচনের জন্য কয়েক জন কর্মী কম থাকার যুক্তি ছাড়া তেমন কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি কর্তৃপক্ষ।

বিটি রোডে কামারহাটি মোড়ের কাছে সিইএসসি অফিসের পাশে স্টেট ব্যাঙ্কের ওই শাখাটিতে এ দিন গ্রাহকেরা এসে দেখেন বন্ধ গেটের গায়ে দু’টি নোটিস সাঁটা। তাতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের জন্য কর্মী কম থাকায় ২৪-২৫ এপ্রিল ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে। এ খবর আগাম জানা না থাকাতেই এ দিন খালি হাতে ফিরে যেতে হয় অসংখ্য গ্রাহককে। স্টেট ব্যাঙ্কের এই শাখাটিতে ৮০ হাজার সেভিংস অ্যকাউন্ট গ্রাহক রয়েছেন। শিল্পাঞ্চল কামারহাটিতে বহু মানুষই এর উপরে নির্ভরশীল। ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় তাই সমস্যাও বেশি হয়।

এ দিন গিয়ে দেখা যায়, ব্যাঙ্কে ঢোকার মূল শাটার গেটটি তালাবন্ধ। তাতে ইংরেজিতে লেখা দু’দিন ব্যাঙ্ক বন্ধের বিজ্ঞপ্তি। সামনে ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য গ্রাহক। ব্যাঙ্কের পিছন দিকে কর্মীদের ঢোকা-বেরোনোর দরজাও ভিতর থেকে বন্ধ। বহু ডাকাডাকিতেও ভিতর থেকে সাড়া মিলছে না। পাশে একটি জানালা খোলা। সেখান দিয়ে স্বয়ংক্রিয় মেশিনে শুধু পাশবই আপডেট করা হচ্ছে।

পিছনের বন্ধ দরজায় ধাক্কা দিয়ে বহু ডাকাডাকিতেও কেউ না আসায় খোলা জানলা দিয়ে শেষমেশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির পরিচয় দিতে খুলল দরজা।

ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি টেবিল ও কাউন্টারেই কর্মী রয়েছেন। জানা যায়, ৯ জন করণিকের মধ্যে মাত্র ৫ জনকে ভোটের কাজে যেতে হয়েছে। বাকি চার জন করণিক, চার জন অফিসার ও এক জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ব্যাঙ্কেই রয়েছেন।

ম্যানেজার রাকেশকুমার গুপ্ত বলেন, ‘‘কর্মী কম রয়েছে। তাই বেশি গ্রাহক এলে সমস্যা হতে পারে ভেবেই গ্রাহকদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।’’ কিন্তু মূল ও পিছনের দরজা দু’টিই বন্ধ থাকলে গ্রাহকেরা ঢুকবেন কী ভাবে? ভিতরে যে কাজ হচ্ছে, তা জানবেনই বা কী করে ? রাকেশবাবুর যুক্তি, ‘‘পিছনের দরজায় এসে ডাকলে আমরা দরজা খুলে দিচ্ছি।’’

এ বিষয়ে স্টেট ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কে লোক কম রয়েছে। তবে কিছু কাজও হয়েছে।’’ যদিও ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, ‘‘কোনও জায়গা থেকেই সব কর্মী ভোটের জন্য তুলে নিয়ে গিয়ে পরিষেবায় সমস্যা সৃষ্টি করা হয় না। এই ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE