—নিজস্ব চিত্র।
চৈত্র সেল, পুজোর সেল, মনসুন সেল— বছরভর ‘সেলের বাজার’-এর ভিড়ে এ বার মাছেরও সেল!
লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে কয়েক হাজার মানুষ। হাতে বাজারের ব্যাগ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাছ কেনার এমন লাইন দেখে পথচলতি মানুষও অবাক। অনেকে আবার নিজেরাও ভিড়ে গেলেন কেনাকাটার লাইনে।
অশোকনগর গোল বাজারের মৎস্য সেলের বাজারটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উদ্যোক্তা, বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী অরুণ দাস। বছর বাহান্নর মানুষটির ওই বাজারেই মাছের দোকান রয়েছে।
সেলে শুধু কাতলাই বিক্রি হয়েছে। দাম, মাত্র ৬০ টাকা কিলো।
এত সস্তায় কাতলা পাওয়া যাবে জেনে অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা সেরেছেন। বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয়েছিল সেলের বাজার। তার অনেক আগে থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে।
ঘণ্টা দু’য়েক লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক মহিলা। তিনি বললেন, ‘‘এমন সুযোগ কেউ হাতছাড়া করে? অন্য দিন যে কাতলার দাম থাকে কেজি প্রতি ২৫০-৩০০, তা সেলের বাজারে পেলাম মাত্র ৬০ টাকায়। কেজি তিনেক মাছ কিনেছি।’’
বাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, সব থেকে ছোট সাইজের কাতলার ওজন ছিল চার কেজি। সেলের বাজারে ওই দিন ১৫ কেজি ওজনের কাতলাও বিক্রি হয়েছে। আয়োজকদের তরফে মঙ্গলবার সকাল থেকে এলাকায় মাইকে প্রচার করে সাধারণ মানুষকে জানানো হয়েছে।
এমন আয়োজন কেন?
অরুণ জানান, ‘‘অশোকনগর ও হাবড়া এলাকায় অনেক গরিব মানুষ থাকেন। তাঁদের অনেকের পক্ষে বেশি দাম দিয়ে কাতলা কিনে খাওয়া সম্ভব হয় না। সেই সব মানুষের কাছে অল্প টাকায় মাছ পৌঁছে দিতেই এই আয়োজন। তা ছাড়া দোকানের প্রচারও হয়।’’
অতীতে তিনি চৈত্র-বৈশাখ মাসে মাছ সেলের বাজারের আয়োজন করেছেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত দু’বছর সেলের বাজার দিতে পারেননি স্থানীয় বিজয়া ফার্মেসি এলাকার বাসিন্দা অরুণ।
গোল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গুপি মজুমদার বলেন, ‘‘সেলের বাজারের জন্য অন্তত এক দিনের জন্য হলেও মানুষ কব্জি ডুবিয়ে কাতলা খেতে পারেন। এ দিন প্রায় ৮ ক্যুইন্টাল মাছ বিক্রি হয়েছে। কিনেছেন হাজার পাঁচেক মানুষ।’’
মাছে-ভাতে বাঙালিও চাইছে, ফি বছর এমন বাজারের আয়োজন হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy