অসচেতন: না পরে বেশির ভাগ যাত্রীই হাতে রেখেছেন লাইফ জ্যাকেট। নৈহাটিতে। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
লঞ্চে চেপে নদী পেরোতে গেলে পরতে হবে লাইফ জ্যাকেট। হুগলির তেলেনিপাড়া জেটিঘাট জলে তলিয়ে যাওয়ার পরে প্রায় প্রতিটি ফেরিঘাটেই লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, শুধু লাইফ জ্যাকেটই নয়, বড় নৌকা বা লঞ্চগুলিতে সর্বাধিক ১০০ জন এবং মাঝারি নৌকায় ৫০ জন যাত্রী তোলা যাবে। প্রতিটি ফেরিঘাটের কাউন্টার থেকে টিকিটের সঙ্গেই কমলা রঙের লাইফ জ্যাকেট ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের। ভাটপাড়ার আতপুর ফেরিঘাটে যাত্রী-শেড বা শৌচালয় কিছুই নেই। কিন্তু লাইফ জ্যাকেট দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
ব্যারাকপুরের শ্যাওড়াফুলি ঘাট, পানিহাটি ফেরিঘাট, নৈহাটি, জগদ্দলের ঘাটগুলিতেও লাইফ জ্যাকেট রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। সেগুলির যাতে যথাযথ ব্যবহার হয়, তা সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলিকে দেখার কথা বলেছেন প্রশাসনের কর্তারা। ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সোমনাথ তালুকদার বলেন, ‘‘নদী পারাপারের সময়ে বাধ্যতামূলক ভাবে লাইফ জ্যাকেট পরা উচিত। এইটুকু সচেতনতা যাত্রীদের কাছ থেকে আশা করা যায়।’’
কিন্তু বাস্তব ছবি বলছে অন্য কথা। সচেতন যাত্রীদের কেউ কেউ নৌকায় ওঠার আগে জ্যাকেট পরে নিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু অধিকাংশই নৌকায় উঠছেন জ্যাকেট হাতে করে। গঙ্গা পেরিয়ে ও পারের ঘাটের কর্মীদের কাছে তা হস্তান্তর করে অবলীলায় চলে যাচ্ছেন। যাত্রীদের অনেকেরই অভিযোগ, বহু ব্যবহৃত এই লাইফ জ্যাকেট পোশাকের উপরে পরলে অফিস বা কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময়ে পোশাক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তা ছাড়া, দিনের বেলা ভীষণ গরম আর আর্দ্রতায় পোশাকের উপর লাইফ জ্যাকেট চাপালে অসুস্থ হয়ে পড়ারও আশঙ্কা থাকে।
নৈহাটি ঘাট নিয়মিত পারাপার করেন স্কুল শিক্ষক জয়নুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘লাইফ জ্যাকেট অনেকেই হাতে ধরে থাকেন। সকলের পোশাক সমান পরিষ্কারও থাকে না। তাই ব্যবহার করা লাইফ জ্যাকেট অনেকেই পরতে চান না।’’
উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ, গাড়ুলিয়ার চেয়ারম্যান সুনীল সিংহদের কথায়, ‘‘এই জ্যাকেট অনেকেই পরতে না চাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। তবে এটা বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রয়োজনে আমরাই ঘাটগুলিতে নিয়মিত নজর রেখে যাত্রীদের জ্যাকেট পরার অনুরোধ করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy