Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
hilsa fish

ইলিশ উপচে পড়ছে ডায়মন্ড হারবারে

দুর্যোগের মধ্যে পড়ে প্রাণ গিয়েছে প্রায় ৪০ জনের

ঢালাও: ডায়মন্ড হারবার স্টেশন বাজারে। নিজস্ব চিত্র

ঢালাও: ডায়মন্ড হারবার স্টেশন বাজারে। নিজস্ব চিত্র

দিলীপ নস্কর
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৮ ০১:৪৭
Share: Save:

ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারে মঙ্গলবার বিকেলে পৌঁছল গাড়ি গাড়ি ইলিশ।

এ বার মরসুমের শুরু থেকে আবহাওয়ায় খেয়ালিপনার জন্য কাকদ্বীপ এলাকায় মৎস্যজীবীরা বিপাকে পড়েন। বেশ কিছু দিন নামতেই পারেননি জলে। দুর্যোগের মধ্যে পড়ে প্রাণ গিয়েছে প্রায় ৪০ জনের। কয়েক দিন ধরে পূবালি বাতাস ও ঝিরঝিরে বৃষ্টির জেরে অবশ্য গভীর সমুদ্রে ফের ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের দেখা মিলছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিভিন্ন মৎস্য বন্দর থেকে ইলিশ মাছ-বোঝাই শ’য়ে শ’য়ে গাড়ি নগেন্দ্রবাজারে আসে। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির পক্ষে বিজন মাইতি ও সতীনাথ পাত্র জানান, প্রায় ৪০০ ট্রলার বন্দরে ফিরেছে। এখন পর্যন্ত ৬০০ টন মাছ পাইকারি বাজারে পাঠানো হয়েছে। বহু ট্রলার গভীর সমুদ্রে রয়েছে। তারা পরে ফিরবে। তখন আরও ইলিশ উঠবে বলে আসা করছে সব পক্ষ।

যে মাছ এসেছে, তা মোটামুটি ৫০০-৮০০ গ্রাম ওজনের। ২৫০-৩০০ টাকায় বাজারে মিলছে। এক কিলোর উপরের মাছ ৫০০-৬০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। মাছের স্বাদ যথেষ্ট ভাল বলে জানান বিজন। তাঁর কথায়, ‘‘পূবালি বাতাস হওয়ায় বাংলাদেশের দিক থেকে সমুদ্রের স্রোত বইছে ভারতের দিকে। ফলে মাছের ঝাঁক ঢুকে পড়ছে। আবার ওড়িশায় বন্যা হওয়ায় ওই মিঠে জল সমুদ্রে নামায় মাছের স্বাদ ভাল।’’ তাঁর মতে, এখনও পর্যন্ত এই মরসুমের সেরা মাছ এসেছে।

এ দিকে ট্রলারে বেশি মাছ আসায় শ’য়ে শ’য়ে গাড়ি নগেন্দ্রবাজারে ঢুকেছে। কিন্তু গাড়ি রাখার আলাদা পার্কিং না থাকায় ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে গাড়ি রাখা হচ্ছে। তাতে যানজট হচ্ছে।

নগেন্দ্রবাজারের একদিকে রত্নেশ্বরপুর থেকে জেটিঘাট পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায় গাড়ির। যানজটে পড়ে কাকদ্বীপ ও কলকাতাগামী সমস্ত গাড়ি। সামান্য রাস্তা পার হতে দীর্ঘ সময় ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।

নগেন্দ্রবাজারের এক আড়তদারের কথায়, ‘‘এই বাজারে দূরদূরান্ত থেকে মাছের গাড়িগুলি আসে। কিন্তু গাড়ি পার্কিং করার মতো জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে থাকে। পুরসভার অধীনে এই বাজারের গাড়ি পার্কিং করার জন্য কেল্লার মাঠটি ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।’’

এ বিষয়ে পুরপ্রধান মীরা হালদার বলেন, ‘‘ওরা কেল্লার মাঠে গাড়ি নামাতে পারে। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fishery Hilsa Fish ইলিশ মাছ
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE