শেষ পর্যন্ত লক আউটই হয়ে গেল টিটাগড়ের কেলভিন জুটমিল। মঙ্গলবার সকালে কর্তৃপক্ষ চটকলের গেটে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস ঝুলিয়ে দেন। তার আগে সোমবার রাতেই অবশ্য চটকল চত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের উপরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, শ্রমিকেরা তাদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। জখম হন দুই পুলিশকর্মী। শ্রমিকদের পাল্টা দাবি, তাঁদের ছ’জন লাঠির আঘাতে জখম হয়েছেন। দুই শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিল খোলার জন্য মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করে শ্রম দফ তর। রাত পর্যন্ত অবশ্য সমাধান সূত্র বেরোয়নি।
সূত্রের খবর, গোলমালের শুরু সোমবার সকালে। মিলের তাঁত ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সে দিন ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। তার পরেই আন্দোলন শুরু করেন ওই ইউনিটের শ্রমিকেরা। কারখানার অন্য বিভাগের শ্রমিকেরাও তাতে যোগ দেন। কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বললেও তাঁরা শোনেননি। অভিযোগ, এর পরেই পুরো কারখানার বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানার অধিকারিক ও কর্তাদের অফিসঘরে ঘেরাও করে রাখেন। কেটে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ এবং জলের লাইন। রাত পর্যন্ত ঘেরাও চলে। সোমবার দুপুর থেকেই কারখানায় মোতায়েন ছিল পুলিশ। রাতে শ্রমিকেরা ঘেরাও না তোলায় পুলিশ তাদের সরে যেতে বলে। পাল্টা রুখে দাঁড়ান শ্রমিকেরা। শুরু হয় দু’পক্ষে ধস্তাধস্তি। অশান্তি আঁচ করে আগে থেকেই র্যাফ নামানো হয়েছিল।
শেষে রাত ১২টা নাগাদ পুলিশ ও র্যাফ কয়েক জন শ্রমিককে বার করে দেয়। এর পরেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। শ্রমিকদের অভিযোগ, পুলিশ আচমকা লাঠি চালাতে শুরু করে। ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন শ্রমিকেরা। এর পরেই আটকে থাকা আধিকারিকদের উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে তিন জন মহিলা ছিলেন।
স্থানীয়েরা জানান, শ্রমিকদের মিল থেকে বার করে দেওয়ার পরে পুলিশের সঙ্গে তাদের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করেন। পুলিশও লাঠি চালায়। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (জোন ১) কে কান্নন বলেন, ‘‘পুলিশ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে মৃদু লাঠিচার্জ করে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy