ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
গত বিধানসভা ভোটের আগে বাগদায় দলের প্রার্থী উপেন বিশ্বাসের হয়ে জনসভা করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। যদিও ভোটে তৃণমূল প্রার্থী বিপুল ভোটে পরাজিত হন কংগ্রেসের দুলাল বরের কাছে।
তারপর কোদালিয়া-বেত্রাবতী দিয়ে বিস্তর জল গড়িয়েছে। গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি এখানে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে অনেকটাই। দু’টি পঞ্চায়েত দখল করেছে তারা। বামেদের সরিয়ে বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে৷ উপেন বিশ্বাসের বাগদায় আনাগোনা কমেছে। দুলাল সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
বাগদা বিধানসভা এলাকায় লড়াই খুব সহজ নয়, তা মানছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে হেলেঞ্চার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটে হয় তো আমরা জিততে পারিনি। কিন্তু এ বার আমার ধারণা, দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারা আমাদের বিফল করবেন না। আমাদের জেতাবেন।’’
তৃণমূলেরই একটি সূত্র জানাচ্ছে, জেলা নেতৃত্বের একাংশের উপরে অভিমানে উপেন বাগদায় আসা কমিয়েছেন। এ দিন উপেন ছিলেন না সভামঞ্চে। তবে বাগদার মানুষের উপরে এখনও তাঁর প্রভাবের কথা মানেন দলেরই অনেকে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘উপেন বিশ্বাস শ্রদ্ধেয় ও সৎ মানুষ। উনি অনেক কাজ করেছেন। ওঁকে এ বার প্রার্থী করতে চেয়েছিলাম (কোনও একটি লোকসভা আসনে)। কিন্তু ওঁর পায়ে চোট লেগেছে। হাঁটতে পারছেন না।’’
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বেলা দেড়টা নাগাদ হেলিকপ্টারে হেলেঞ্চায় আসেন। উলুধ্বনির মাধ্যমে তাঁকে মহিলা কর্মীরা স্বাগত জানান। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, প্রার্থী মমতা ঠাকুর।
বনগাঁ তথা গোটা জেলায় রাজ্য সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কাজের পরিসংখ্যান এ দিন তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। দেগঙ্গায় মধু সংগ্রহকারীদের জন্য হানি হাব, ঠাকুরনগরে ফুল মান্ডি, আইটিআই, পলি টেকনিক, কিসান মান্ডি, বনগাঁ-বসিরহাটে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, বারাসতে মেডিক্যাল কলেজ, টেক্সটাইল হাব, সড়ক ও সেতু নির্মাণের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy