সন্ত্রাস: এই মাঠেই বোমা পড়ে বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
রাতভর বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল অশোকনগরের বামনডাঙা ও কোয়ালিপোতা এলাকায়। রবিবার রাত ১১টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পরে গ্রামবাসীরা বাজারে যেতে বা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় পাচ্ছেন। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
রবিবার দুপুরে লোকসভা ভোট চলাকালীন বামনডাঙা এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে গোলমাল হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল ছাপ্পা মারছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা ও পুলিশ গিয়ে সকলকে এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়। তারপরে ভোটগ্রহণ পর্ব শান্তিতেই মিটেছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাত ১১টা থেকে বোমাবাজি শুরু হয়। বাইক বাহিনীর আনাগোনাও চলেছে। খেতের মধ্যে বোমাবাজি করা হয়। মহিলাদের বক্তব্য, ‘‘দফায় দফায় বোমাবাজির শব্দে আমাদের ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। পুলিশ এসে নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেও সারা রাত ভয়ে আমরা কেউ ঘুমোতে পারিনি। ভোরের দিকে দুষ্কৃতীরা মুখ ঢাকা অবস্থায় এসে না ফাটা বোমা কুড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘আমরা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছি। যদি দুষ্কৃতীরা আমাদের উপরে হামলা করে।’’ এ দিন সকালে অনেকেই বাজার-হাটে বের হননি। মহিলারা কেউ কেউ বলেন, ‘‘আমরা রাজনীতি বুঝি না। ভোট তো মিটে গিয়েছে। এখনও কেন শান্তিতে থাকতে পারব না।’’
বিজেপির লোকজনের অভিযোগ, রবিবার ভোটে গোলমালের সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসায় তৃণমূল সুবিধা করতে পারেনি। এখন ওরা হুমকি দিচ্ছে। বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বিপ্লব হালদার বলেন, ‘‘পায়ের তলা থেকে রাজনৈতিক মাটি সরে গিয়েছে বুঝতে পেরে তৃণমূল বোমাবাজি করে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা করছে।’’ অশোকনগরের প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের সত্যসেবী কর বলেন, ‘‘রবিবার ভোটে সুবিধা করতে না পেরে তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে।’’
এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অশোকনগরের বিধায়ক তৃণমূলের ধীমান রায় বলেন, ‘‘রবিবার রাতে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল দেখে বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আনন্দ ফূর্তি শুরু করে। পিকনিকও করেছে। ওরাই বোমাবাজি করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy