Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বাবা-মাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার নালিশ 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বাবা মায়ের উপর অত্যাচার করছে পরিমল।

এই দম্পতিই অভিযোগ করেছেন। নিজস্ব চিত্র

এই দম্পতিই অভিযোগ করেছেন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাসন্তী শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৯ ০৭:০৩
Share: Save:

বাবা-মা কে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। বিচার চেয়ে থানার দ্বারস্থ হন বাবা-মা। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে বাড়িতে ফেরেন কার্তিক নায়েক ও হরিদাসী নায়েক নামে ওই দম্পতি। অভিযুক্ত ছেলে পরিমল নায়েককে আটক করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে বাসন্তী থানার শিবগঞ্জ গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বাবা মায়ের উপর অত্যাচার করছে পরিমল। অভিযোগ, মূলত সম্পত্তির লোভে প্রায় দিন মদ্যপান করে এসে বাবা মাকে গালিগালাজ করত সে। পাশাপাশি তাঁদেরকে মারধর শুরু করে পরিমল।

রবিবার সকালেও একই ভাবে মদ্যপান করে বাড়ি এসে বাবা মাকে গালিগালাজ করতে থাকে পরিমল। মা প্রতিবাদ করলে তাঁকে শাবল দিয়ে মারতে যায় সে। এমনকী মায়ের গলা টিপে ধরে অভিযুক্ত ছেলে। স্ত্রীকে মার খেতে দেখে তাকে বাঁচাতে গেলে ছেলের হাতে মার খান কার্তিকও। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে দু’পক্ষকে শান্ত করেন। কিন্তু বাবা মায়ের ঘরে তালা ঝুলিয়ে তাঁদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেন অভিযুক্ত ছেলে। এ বিষয়ে থানায় জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে গুনধর ছেলের বিরুদ্ধে।

আটক করা হয়েছে অভিযুক্তকে। নিজস্ব চিত্র

যদিও ছেলের সেই হুমকি উপেক্ষা করেই তার বিরুদ্ধে বাসন্তী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই দম্পতি। অভিযোগ পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ তড়িঘড়ি দম্পতিকে নিয়ে ফেরত যান তাঁদের বাড়িতে। নির্যাতিত বাবা মাকে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করে পুলিশ। কার্তিক ও হরিদাসী বলেন, “বহুদিন ধরেই এই অত্যাচার আমাদের উপর করছে ছেলে। প্রতিদিন মদ খেয়ে বাড়িতে এসেই ঝামেলা শুরু করে। বৌমাকেও একাধিক দিন মারধর করে। আমরা ওর শাস্তি চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Arrest Parents
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE