প্রতীকী ছবি।
গাছের গুঁড়ি ধরে প্রাণপণে পাড়ে ওঠার চেষ্টা করছেন শেখ জামশেদ। নীচ থেকে তখন তাঁর ডান পায়ের মাংসের মধ্যে ক্রমশ শক্ত হয়ে বসছে কুমিরের ধারাল দাঁতের সারি। মিনিট কুড়ি কুমিরে-মানুষে টানাটানি চলে। শেষমেশ জামশেদের সঙ্গীদের লাঠি-বৈঠার ঘায়ে শিকার ছে়ড়ে পালায় কুমিরটি।
পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুরের ক্ষেত্র মোহনপুরের বাসিন্দা জামশেদের চিকিৎসা চলছে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনার পরে তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পাথরপ্রতিমা ব্লক হাসপাতালে। বিএমওএইচ কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, ‘‘ওই মৎস্যজীবীর থাইয়ের একটা অংশ খুবলে নিয়েছে কুমির। তবে অবস্থা স্থিতিশীল।’’ রাক্ষসখালি নদীর রঞ্জিতঘাটের কাছে নৌকো নিয়ে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন বছর পঞ্চাশের মৎস্যজীবী জামশেদ। বেলা তখন ৩টে। নদীতে ভাটা চলছে। বাঁধের পাশে গাছে নৌকো বেঁধে কোমর সমান জলে নেমে জাল ফেলছিলেন ওই মৎস্যজীবী। আচমকাই কুমিরটি তাঁর ডান পায়ের হাঁটুর উপরে কামড়ে ধরে। চিৎকার করে ওঠেন জামশেদ। তাঁর চিৎকারে অন্য মৎস্যজীবীরা লাঠি-বৈঠা নিয়ে আসেন। লাঠির ঘা খেয়েও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল কুমিরটি। একটা সময়ে রণে ভঙ্গ দেয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শেখ বাবলু, শেখ রবিউলরা বলেন, ‘‘কুমিরের দাঁতে যে এত শক্তি, তা আমাদের জানা ছিল না। লাঠির ঘা খেয়েও চোয়াল আলগা করছিল না।’’ জামশেদের কথায়, ‘‘বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছি। এই নদীতে কুমির আছে জেনেও ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরি। বাড়িতে স্ত্রী-ছেলের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দিতে হলে এ ছাড়া আর উপায়ই বা কী!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy