প্রতীকী ছবি।
ছেলের স্মৃতি রক্ষায় চোখের হাসপাতাল গড়তে ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের জমি দান করলেন মা। গরিব মানুষের জন্য উন্নয়নমূলক কাজে দিতে চান বাস্তুভিটেটুকুও। টাকির বাসিন্দা চন্দনা মিত্রের এমন উদ্যোগে গর্বিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
তাঁর এই দানের প্রেক্ষিতে রয়েছে দু’টি শোকের ঘটনা। একমাত্র ছেলে অভিষেক মারা যান ২০১৬ সালের ১৯ মে। বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ সেদিন। দুপুরে বাইকে চেপে বসিরহাট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন অভিষেক। রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া একটি বিজয় মিছিল থেকে হঠাৎ কেউ অভিষেকের দিকে আবির ছোড়ে। সেই আবিরে চোখ বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। মারা যান বছর আঠাশের অভিষেক।
সেই শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই চলতি বছরের ৫ মে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় চন্দনার স্বামী মৃত্যুঞ্জয়ের। স্বামী-সন্তানহারা চন্দনার সঙ্গে সম্প্রতি পরিচয় হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত অধীর পাল, দীপক বসু, প্রদীপ বিশ্বাসের। তাঁরা তখন টাকিতে চোখের হাসপাতাল গড়ার জমি খুঁজছেন। দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় জমি কিনতে পারছেন না। সব শুনে ওই সংগঠনের পাশে দাঁড়ান চন্দনা। টাকির দক্ষিণরাড়ি পাড়ায় ১২ কাঠা জমি ছিল চন্দনার। চন্দনার স্বামী রেশন ডিলার ছিলেন। ছেলের মোবাইলের দোকান ছিল। স্বচ্ছল পরিবার। চন্দনা বলেন, ‘‘ছেলে এবং স্বামীর মৃত্যুতে সব স্বপ্নই ফিকে হয়ে গিয়েছে। ওদের স্মৃতিটুকুই এখন সম্বল।’’ রামকৃষ্ণ মিশনকেও এক লক্ষ টাকা দান করেছেন চন্দনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy