ভাঙন: কলাগাছিতে ভাঙছে বাঁধ। নিজস্ব চিত্র
সুন্দরবন-লাগোয়া সন্দেশখালির বিভিন্ন নদী বাঁধের অবস্থা ভয়াবহ। যে কোনও সময়ে বড়কলাগাছি এবং রায়মঙ্গল নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে চাষের জমি, পুকুর, মেছোভেড়ি, ঘরবাড়ি। বর্ষার মুখে আতঙ্কে দিন কাটছে বহু মানুষের।
ন’বছর আগে আয়লার স্মৃতি এখনও ভোলেননি মানুষ। নড়বড়ে বাঁধের অবস্থা দেখে তাঁরা আরও ভয়ে ভয়ে থাকেন। সন্দেশখালির হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি সে সময়ে জলের তলায় চলে গিয়েছিল। বহু মানুষ গবাদি পশুর মৃত্যু হয়। নষ্ট হয় মাছের ভেড়ি।
মণিপুর পঞ্চায়েতের প্রধান শিবানী সর্দার বলেন, ‘‘সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষায় আজও বহু গ্রামে আয়লা বাঁধ হয়নি। মণিপুরে ১৫ কিলোমিটার আয়লা বাঁধ জরুরি। মাত্র মাত্র এক কিলোমিটার বাঁধের কাজ হয়েছে। তা-ও অজানা কারণে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’
সন্দেশখালির আতাপুর গ্রামের বাসিন্দা কমলাকান্ত মণ্ডল, খগেন বৈদ্যের কথায়, ‘‘আয়লা বাঁধ না হওয়ায় আতঙ্ক কাটে না। নদী বাঁধে বড় বড় ফাটল। যে কোনও মুহূর্তে ফের বড় ভাঙন হতে পারে। সে রকম হলে সুন্দরবনের এই এলাকার মানুষ কী করে রক্ষা পাবেন, কে জানে!’’
সুনীল পড়ুয়া, রূপেন মণ্ডলদের কথায়, ‘‘ঢালাই ও পিচের রাস্তা হয়েছে। বিদ্যুৎ, পানীয় জল এসেছে। রাস্তার পাশে নতুন ভাবে গাছ লাগানো হয়েছে। কিন্তু বাঁধ তৈরি এবং মেরামতির আসল কাজটাই এগোলো না।’’
আতাপুরে আয়লা বাঁধ তৈরি বন্ধ হল কেন?সেচ দফতরের আধিকারিক দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বসিরহাট মহকুমার দশটি ব্লকে মোট সাড়ে ৮শো কিলোমিটার নদী বাঁধ আছে। তার মধ্যে ১২ কিলোমিটার আয়লা বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। ১১ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে।’’ নতুন ভাবে আরও ৫৩ কোটি টাকার আয়লা বাঁধের কাজের জন্য টেন্ডারের কাজ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেবব্রত। তাঁর কথায়, ‘‘আতাপুরে আয়লা বাঁধের কাজ শুরু হলেও ওই এলাকায় নদী বেশি মাত্রায় ভাঙনপ্রবণ হওয়ায় কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ভাঙন আটকানো সম্ভব হলে বর্ষার পরে ফের আয়লা বাঁধের কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy