এখানেও থাকছে ভর্তির ব্যবস্থা। ছবি: দিলীপ নস্কর
খুব শীঘ্রই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সফরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। রায়দিঘি হাসপাতালের নতুন ভবন ও সংস্কার হওয়া ভবনের উদ্বোধন করা কথা তাঁর। সে কথা মাথায় রেখে রবিবার, ছুটির দিনেও মহকুমাশাসক, স্বাস্থ্য দফতর ও সেচ দফতরের আধিকারিকেরা হাসপাতাল পরিদর্শনে যান।
স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়দিঘি শ্রীফলতলা গ্রামে বাম জমানায় রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালটি তৈরি হয়েছিল। ৬০ বেডের হাসপাতাল দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় বেহাল হয়ে পড়ে। গত বর্ষায় ছাদের চাঙড় খসে পড়ে এক রোগী জখম হন। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবেও পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছিল। ২০১৪ সালে ওই এলাকায় এক সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালটি ১০০ শয্যার করবেন বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই হাসপাতালের উপরে মথুরাপুর ২ ব্লক ছাড়াও কুলতলি, পাথরপ্রতিমার অনেক মানুষও নির্ভরশীল। এত পুরনো হাসপাতালে এখনও অস্ত্রোপচারের কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় ক্ষোভ আছে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটলেও ‘রেফার’ করা হয় প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সে সব সমস্যার কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুরনো হাসপাতাল ভবন, চিকিৎসকদের আবাসন সংস্কার হয়েছে। মা ও শিশুদের জন্য আলাদা ভবন তৈরির জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে কয়েক মাস আগে প্রায় ৩ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছিল। সেই টাকায় কাজের গতি কেমন, তা দেখতেই এ দিন সকালে যান প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। ওই দলে ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক শান্তনু বসু, ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ত্রিদিব দাস, সেচ দফতরের এসডিও অমিয় চক্রবর্তী, বিডিও স্বাতী চক্রবর্তী, বিএমওএইচ প্রণবেশ হালদার, মথুরাপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পুতুল গায়েন। ছিলেন তৃণমূল নেতা সত্যরঞ্জন গায়েন, অলোক জলদাতারাও।
পুরনো হাসপাতাল ভবন সংস্কারের কাজ চলছে। ভর্তি থাকা রোগীরা প্রশাসনের লোকজনকে কাছে পেয়ে কিছু অভাব-অভিযোগের কথা বলেন। এমন গরমে পাখা ঘুরলেও তাতে বাতাস লাগে না, পানীয় জলের অভাব, অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার নিয়ে অভিযোগ শোনেন আধিকারিকেরা।
মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘আগে ৬০টি শয্যা ছিল। নতুন করে মা ও নবজাতকদের জন্য ২০ বেডের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তা চালু করা হবে।’’ পরিকাঠামোর বিষয়ে ডেপুটি সিএমওএইচ বলেন, ‘‘অস্ত্রোপচারের জন্য এখনও ওটি অনুমোদন হয়নি। তবে আরও চিকিৎসক ও নার্স আনার ব্যবস্থা হচ্ছে। বাকি সমস্যাগুলি ধীরে ধীরে সমাধান করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy