দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়
আলুর পাশাপাশি পেঁয়াজের দরও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে বেশিরভাগ বাজারে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এর মধ্যেই ১৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছেন দেগঙ্গার কয়েকজন ব্যবসায়ী। পোস্টার লাগিয়ে শুরু হয়েছে বিক্রি। কম দামে পেঁয়াজ কিনতে লাইন লাগাচ্ছেন ক্রেতারা।
কী ভাবে এত কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে?
এক ব্যবসায়ী জানালেন, বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ। তাই ঘোজাডাঙা সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে থাকা টন টন পেঁয়াজ নষ্টের মুখে। জলের দরে বিকোচ্ছে সেই পেঁয়াজ।
ঘোজাডাঙা ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কান্তি দত্ত বলেন, ‘‘১৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রের পক্ষে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের নির্দেশিকা জারি হতেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন বহু ব্যবসায়ী। ২৭৫টি পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক আটকে গিয়েছে সীমান্তে।
এক একটি ট্রাকে ১২-১৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রয়েছে। কিছুটা পচন ধরতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে পেঁয়াজ ভর্তি বহু গাড়ি সীমান্ত থেকে ফিরে গেলেও এখনও ৫০-৬০টি লরি সীমান্তের বিভিন্ন পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।’’
পেঁয়াজ রফতানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘‘কেন্দ্রের নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরে সীমান্তে প্রায় ২৭৫টি পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক আটকে গিয়েছে। এই পেঁয়াজ মূলত কেরল ও মহারাষ্ট্র থেকে ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পচে যাওয়া পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পারলে কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাই যতটা সস্তায় সম্ভব, বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।’’
ক্রেতাদের মধ্যে নাজমা বিবি, সবিতা পাঁড়ুই, রুবিয়া মণ্ডল বলেন, ‘‘দু’চারটে পেঁয়াজের গায়ে পচন ধরলেও কম দামে পাচ্ছি। বেশ অনেকটাই কিনে রাখলাম। এ সুযোগ তো রোজ রোজ আসে না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy