মগরাহাটে মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি বলে বিজেপি-র বিক্ষোভ ধামুয়া স্টেশনে। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
মনোনয়নপত্র তোলা নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন ব্লকে বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোল হল। অভিযোগ, বুধবার সকাল থেকেই শাসকদলের বাহিনী ডায়মন্ড হারবার-১ ও ২, ফলতা, মগরাহাট-২ ব্লকের সামনে হাজির ছিল। বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসকর্মীরা ওই ব্লক অফিসগুলি থেকে মনোনয়নপত্র তুলতে গেলে ওই বাহিনী তাঁদের বাধা দেয় বলেও অভিযোগ।
এ দিন দুপুরে ফলতা ব্লকে সিপিএমের পক্ষ থেকে ব্লক অফিসে মনোনয়নপত্র তুলতে গেলে শাসকদলের কাছ থেকে বাধা আসে। এমনকী, পুলিশের সামনেই সিমিএম কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শাসকদলের বাহিনীদের আক্রোশ থেকে বাদ পড়েননি সাংবাদিকরাও। ব্লক অফিসে ঢুকতে গেলে ওই বাহিনীর কাছে পরিচয়পত্র দেখিয়ে তবে ঢুকতে হচ্ছে তাঁদেরও। এমনকী, নিত্য প্রয়োজনে আসা সাধারণ মানুষও ফলতা ব্লক অফিস ঢুকতে পারছেন না।
একই বিষয়ের অভিযোগ ডায়মন্ড হারবার-১ ও ২ ব্লকেও। সেখানেও ব্লক অফিসের সামনে সকাল থেকেই শাসকদলের বহিরাগতদের আনাগোনা। তারা এলাকায় কাউকেই চেনে না। চিনতে না পেরে ভিড় করে থাকা শাসকদলের কর্মীদেরও তারা তাড়া করছে বলে খবর।
ব্লক অফিসের সামনে চলা এমন অবস্থার প্রতিবাদে ডায়মন্ড হারবারে সিপিএমের পক্ষ থেকে মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তারা জেটি ঘাট থেকে মিছিল করে স্টেশন মোড়ে এসে এর প্রতিবাদে দুপুরে কিছুক্ষণ অবরোধও করে। একই দাবিতে ডায়মন্ড হারবার-শিয়ালদহ শাখার ধামুয়া মোড়ে রেল অবরোধ করা হয় বিজেপি-র পক্ষ থেকে।
জেলা বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সুফল খাটুর অভিযোগ, জেলার বেশ কিছু ব্লকে শাসকদলের বহিরাগতরা পিস্তল, তরোয়াল-সহ ঘোরাঘুরি করছে। বিজেপি কর্মীদের মারধরও করা হয়েছে। সিপিএমের নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শাসকদল আগে বুথ দখল করত, এখন উন্নয়নের ঠেলায় বিডিও অফিস দখল করছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাটাই দখল করে নিতে চাইছে।’’
এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সম্পাদক শক্তি মণ্ডল বলেন, ‘‘ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। আদালতের দ্বারস্থ হয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy