Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

পেট্রাপোল পরিষ্কার রাখতে উদ্যোগী প্রধান

এলাকার নিকাশি নালা ভরে আছে নোংরা কালো জলে। তার মধ্যে আবর্জনার স্তূপ। প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ থেকে শুরু করে ডাব, ছেঁড়া কাপড়-সহ সবই তাতে আছে। মশার লার্ভাও ভেসে বেড়াচ্ছে। 

সাফাই: কাটা হচ্ছে আগাছা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

সাফাই: কাটা হচ্ছে আগাছা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
পেট্রাপোল শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪৮
Share: Save:

এলাকার নিকাশি নালা ভরে আছে নোংরা কালো জলে। তার মধ্যে আবর্জনার স্তূপ। প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ থেকে শুরু করে ডাব, ছেঁড়া কাপড়-সহ সবই তাতে আছে। মশার লার্ভাও ভেসে বেড়াচ্ছে।

পেট্রপোলের এমন দশা দূর করতে পদক্ষেপ করল ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন প্রসেনজিৎ ঘোষ। রবিবার সকাল থেকে বন্দর এলাকায় তিনি মশা মারার কাজ শুরু করেন। শ্রমিক, পঞ্চায়েতের লোকজন ও প্রধান নিজে বন-জঙ্গল সাফাই করেন। এলাকায় চুন-ব্লিচিং তেল ছড়ানো হয়। পাশাপাশি বন্দর সংলগ্ন যশোর রোডের দু’পাশেও জঙ্গল সাফাই ও মশা মারার তেল স্প্রে করা হয়েছে।

মশা মারার পাশাপাশি এ দিন বন্দর এলাকার মানুষকে সচেতন করতে প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হয়। মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এ দিন বন্দর এলাকায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতামূলক মিছিল ও প্রচার করেন। প্রচারে বলা হয়, জল জমতে দেবেন না। কেউ প্লাস্টিক ব্যবহার করবেন না। জ্বর হলে পঞ্চায়েতে দ্রুত যোগাযোগ করুন। পঞ্চায়েত থেকে বিনা খরচে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘বন্দর এলাকাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মানুষ ছাড়াও বিদেশিরা এখানে আসেন। এখন থেকে বন্দর এলাকা সহ গোটা পঞ্চায়েত এলাকায় নিয়মিত মশা মারার কাজ করা হবে। বন্দরের নিকাশি নালার আবর্জনাও দ্রুত পরিষ্কার করা হবে।’’

সীমান্তে বাণিজ্য ও নানা ছোট খাটো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত লোকজন জানান, বন্দর এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। একটি মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের ম্যানেজার আশিষ দে ও মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের কর্মী বাপ্পা ঘোষ বলেন, ‘‘অফিসের মধ্যে মশার উপদ্রব ঠেকাতে মশা মারার তেল ব্যবহার করতে হয়।’’ এই পরিস্থিতিতে এলাকা পরিষ্কার করে ভালই হল বলে তাঁরা জানান।

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যের কারণে রোজই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে শ’য়ে শ’য়ে ট্রাক চালক খালাসিরা আসেন। ওই বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এ ছাড়া বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বহু সংঠনের লোকজন, শুল্ক, অভিবাসন ও বিএসএফের কর্মীরাও এখানে কাজের সূত্রে থাকেন। রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য দোকানপাট। প্রায় হাজার তিরিশ মানুষ এখানে থাকেন।

বাংলাদেশি যাত্রীরা ও ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘‘দেখে খুব ভাল লাগল এখানে মশা মারা হচ্ছে। এখন থেকে বন্দরে নিরাপদে কাজ করা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cleaning Petrpole Panchayat Head
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE