Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

যাতায়াত করতে গিয়ে গা ব্যথা করে

বছর খানেক আগে বাস মালিকেরা ওই রুটে বাস চলাচলা বন্ধ করে দেন। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে রাস্তায় ইট ফেলার পর ফের বাস চলাচল শুরু হয়। ওই সড়ক দিয়ে বাস, অটো, ম্যাটাডোর নানা যানবাহন চলে।

ভগ্ন: আমডোব থেকে বাঁশঘাটা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

ভগ্ন: আমডোব থেকে বাঁশঘাটা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাগদা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৭ ১৩:০০
Share: Save:

দূর থেকে দেখলে মনে হবে ডোবা। সামনে গিয়ে বোঝা গেল রাস্তা!

বাগদার থানা এলাকার আষাঢ়ু-বাঁশঘাটা ১১ কিলোমিটার রাস্তার বেশির ভাগই এখন খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টির জল জমে তা ছোট ডোবার আকার নিয়েছে। সব থেকে খারাপ অবস্থা বাঁশঘাটা থেকে আমডোব পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তার। ইট পাথর উঠে গিয়েছে। অথচ প্রায় তিরিশ হাজার মানুষের যাতায়াতের ভরসা হল ওই পথ।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তাটি বেহাল। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসন উদাসীন। মাঝে মধ্যে ইট ফেলে গর্ত বন্ধ করা হয় ঠিকই। কিন্তু তা বেশিদিন টেকে না। মানুষের দাবি, দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা হোক। বাগদার বিডিও জসিমউদ্দিন মণ্ডল জানান, সড়কটি সংস্কার করার জন্য জেলা পরিষদকে জানানো হয়েছিল। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ্য নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘বর্ষার পর গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের টাকায় সড়কটি সংস্কার করা হবে।’’

বছর খানেক আগে বাস মালিকেরা ওই রুটে বাস চলাচলা বন্ধ করে দেন। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে রাস্তায় ইট ফেলার পর ফের বাস চলাচল শুরু হয়। ওই সড়ক দিয়ে বাস, অটো, ম্যাটাডোর নানা যানবাহন চলে। যান চালকদের বক্তব্য, ‘‘বেহাল রাস্তায় রোজই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে।’’ অটোতে যাত্রী নিয়ে বাঁশঘাটা থেকে আষাঢ়ু যাচ্ছিলেন এক চালক। তিনি জানান, এলাকার মানুষের স্বার্থে বিপদ মাথায় নিয়েও এই রাস্তায় অটো চালাচ্ছি। রোজই গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে। এ ভাবে আর বেশিদিন অটো চালানো যাবে না। বড় গাড়ি তো দূরের কথা এমনকী বাইক চালানোও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আষাঢু গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা সিপিএমের গণেশ ঘোষ বলেন, ‘‘চাষিরা খেত থেকে হাটে আনাজ নিয়ে আসার সময় সমস্যায় পড়ছেন। এই রাস্তা দিয়েই রোগী নিয়ে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে যেতে হয়। এতে সমস্যায় পড়ছেন মানুষ।’’ কারণ ওই রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে রোগীরা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে দাবি তাঁদের বাড়ির লোকেদের।

যাত্রীরা জানান, এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে এমনিই শরীরে যন্ত্রণা হয়। গাড়ির ঝাঁকুনিতে কোমড় ভেঙে যায়। তার মধ্যে অসুস্থ হলে তো আর কোনও কথাই নেই। স্থানীয় বাসিন্দা সালাম মণ্ডল, কানাই দাসেরা বলেন, ‘‘রাস্তার কারণে খেতের ফসল হাটে বাজারে নিয়ে যেতে বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে।’’

কলেজ পড়ুয়ারাদেরও ওই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য বাড়ির থেকে অনেক আগেই বেরোতে হয় বলে তাঁরা জানান। পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের সরস্বতী মু্ণ্ডা বলেন, ‘‘আমাদের কাছে পুরো রাস্তা সংস্কার করার মতো টাকা ছিল না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Road Condition Public
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE