Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

হাঁটু-কাদা পেরিয়েই যাতায়াত

মাটির রাস্তা। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার হয়নি। বৃষ্টিতে যা হওয়ার তাই হাল। ভেঙেচুরে একসা। এক হাঁটু কাদা পেরিয়েই চলছে যাতায়াত। তবে শুধু এই বর্ষায় নয়, ফি বর্ষাতেই কুলপির রামনগর গাজিপুরের পঞ্চায়েতের উত্তর নারায়ণপুর থেকে আটমনোহরপুর প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ধরে এ ভাবেই চলে যাতায়াত।

মরণ-দশা...। —নিজস্ব চিত্র।

মরণ-দশা...। —নিজস্ব চিত্র।

দিলীপ নস্কর
কুলপি শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৬ ০০:৫৩
Share: Save:

মাটির রাস্তা। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার হয়নি। বৃষ্টিতে যা হওয়ার তাই হাল। ভেঙেচুরে একসা। এক হাঁটু কাদা পেরিয়েই চলছে যাতায়াত।

তবে শুধু এই বর্ষায় নয়, ফি বর্ষাতেই কুলপির রামনগর গাজিপুরের পঞ্চায়েতের উত্তর নারায়ণপুর থেকে আটমনোহরপুর প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ধরে এ ভাবেই চলে যাতায়াত। কুলপির বিডিও বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একশো দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তা ঠিক করা যায় কিনা দেখব। টাকার সমস্যার জন্য কাজ করা যাচ্ছে না।’’

এই এলাকার বহু রাস্তাঘাটই এখনও পর্যন্ত মাটির। কোথাও ইটপাতা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ার ফলে সে সব উধাও। ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে দিনের বেলায় কোনও মতে চলাচল করা গেলেও সন্ধ্যার সময়ে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। কারণ এখনও গ্রামের রাস্তাগুলিতে আলোর ব্যবস্থাটুকু পর্যন্ত নেই।

বিধানসভা ভোটের আগে এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য এলাকার বাসিন্দারা প্রশাসনকে জানিয়েছিল। এমনকী সে সময়ে ওই এলাকার প্রার্থীরা প্রচারে গিয়ে ওই রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোট মেটার পর আর কেউ ফিরে তাকাননি, এমনই অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। তৃণমূলের বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কারণ তিনি কলকাতার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন।

ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে মনোহরপুর, আটমণিস, রামানন্দপুর, আটবাজার, খোলাপুকুর বাজার-সহ ৭-৮টি গ্রামের মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা নকুল হালদার, ভবেশ হালদারদের দাবি, ফি বছর বর্ষায় বাড়ির সামনের রাস্তা হাটু সমান জল কাদা মাড়িয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। ওই কাদা ভেঙে মেয়েদের পানীয় জল নিতে যেতে হচ্ছে পাশের পাড়ায়। যে কোনও সময় পড়ে দুর্ঘটনা ঘটবে। আর আগে অনেকেই ওই কাদায় পড়ে হাত পা ভেঙেছে। এলাকায় একটি মাত্র ঝাউখালিহাট হাইস্কুল। সেখানে কয়েকশো ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। জলকাদা ভেঙে স্কুলে যাচ্ছে তারা। কাদার মধ্যে দিয়ে ষেতে গিয়ে শামুক ও কাঁচে পা-ও কাটছে পড়ুয়াদের। ব্যাগে রাখতে হচ্ছে অতিরিক্ত পোশাক। অধিকাংশ সময় কাদায় পড়ে স্কুলের পোশাক নষ্ট হচ্ছে। ওই রাস্তা দিয়ে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে হিমসিম খাচ্ছেন মানুষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kulpi Muddy Road problem
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE