ভাঙাচোরা: ক্ষতিপূরণ পাননি বাগদার কুলতলার পরিতোষ দাস। পড়ে আছে ভিটের চিহ্নটুকু। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
মিনাখাঁর বগিরহুলা গ্রামের নিখিল দাস, স্বপ্না নন্দীরা এখনও নিজেদের বাড়িঘর সারাতে পারেননি। আমপানের পরে গাঁয়ের কত লোক কত টাকা পেয়ে গেল, নিখিলরা এখনও সেই আশায় বসে।
বললেন, ‘‘এখন তো শুনছি, সরকার নাকি দুয়ারে আসবে। আমাদের তো ঘরদুয়ারই আর নেই। সরকার বাহাদুর এলে বসতে দেবো কোথায়?’’
নিজের কথায় নিজেরাই হেসে ওঠেন নিখিলরা। পকেটে টাকা নেই। ক্ষতিপূরণ পাননি। এই পরিস্থিতিতে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছেন নিখিল। মালঞ্চচক আহমেদপুর গ্রামের তন্ময় বর্মন, সন্দেশখালির দারিকজঙ্গল এলাকার মেঘনাথ সর্দার, গয়ানাথ নস্কর, অর্জুন ঢালিরাও এ ভাবেই দিন কাটাচ্ছেন। সরকারি ক্ষতিপূরণের জন্য বিডিও অফিস, পঞ্চায়েত অফিসের চক্কর কেটেছেন বহুবার। কিন্তু জানালেন, টাকা মেলেনি। মিনাখাঁর বাসিন্দা ইউনুস মোল্লা, মনিকা ঢালি, সুজিত মণ্ডল, রুকশনা বিবিদের দাবি, আমপানে বাড়িঘর পুরোই নষ্ট হয়েছিল। আংশিক ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। সেই টাকায় কোনও রকমে ত্রিপল খাটিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে মিনাখাঁর বিডিও শেখ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘‘যাঁরা ক্ষতিপূরণের কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। তবে কেউ কেউ ব্যাঙ্কের সমস্যার জন্য টাকা পাননি। কাজ চলছে, একটু দেরি হলেও আবেদনকারীরা সকলেই প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে যাবেন।’’
এমন আশ্বাস অবশ্য গত ছ’মাস ধরে শুনে চলেছেন নিখিলরা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy