Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতাল
Dengue

এ বার শুরু হল প্লেটলেট পরীক্ষার কাজ

এ দিন থেকেই চালু হয়েছে ‘প্যাকড সেল ভল্যুম’ ব্যবস্থাও। সুপার জানান, ‘‘ডেঙ্গি-আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে ‘প্যাকড সেল ভল্যুম খুব বেড়ে যাওয়া ও খুব কমে যাওয়া দু’টোই আশঙ্কাজনক।’’

পরিষেবা দিতে ব্যস্ত চিকিৎসক। ছবি: শান্তনু হালদার

পরিষেবা দিতে ব্যস্ত চিকিৎসক। ছবি: শান্তনু হালদার

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাবরা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:১৩
Share: Save:

প্লেটলেট পরীক্ষা করতে হলে আর অন্য কোথাও যেতে হবে না। সোমবার থেকে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে শুরু হল প্লেটলেট পরীক্ষা ও ‘প্যাকড সেল ভল্যুম’ ব্যবস্থা। যা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

হাবরায় ইতিমধ্যে অনেকেই ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তাঁদের বাইরের ল্যাব থেকে রক্ত পরীক্ষা করাতে হচ্ছিল। কিন্তু এ বার সেই সমস্যার সমাধান হল।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই দু’টি ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া অনেকটা সহজ হল। হাসপাতাল সুপার শঙ্করলাল ঘোষ বলেন, ‘‘জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে ওই দু’টি পরিষেবা এখানে চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন থেকে চিকিৎসকেরা অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করাতে পারবেন।’’

প্লেটলেট কাউন্ট করাতে রোগী প্রতি সময় লাগছে মাত্র দেড় মিনিট। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে প্রায় ৩০০ রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গি-আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য রক্তের প্লেটলেটের পরিমাণ জানা খুবই জরুরি। প্লেটলেট ওঠা-নামার উপরে চিকিৎসা অনেকটাই নির্ভর করে। এত দিন হাসপাতালে ভর্তি জ্বরে বা ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীরা বাইরে থেকে খরচ করে রক্তের প্লেটলেট পরীক্ষা করিয়ে আনতেন। তার ভিত্তিতেই চিকিৎসা চলত। কিন্তু বাইরের রিপোর্ট নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংশয় থাকত।

সকালের রিপোর্টের সঙ্গে বিকেল বা রাতের প্লেটলেটের পরিমাণের ফারাক থাকতে পারে। কোনও রোগী যদি সকালে বাইরে থেকে প্লেটলেট পরীক্ষা করিয়ে আনেন, বিকেলের দিকে তাঁর প্লেটলেটের কী অবস্থা, তা জানার উপায় ছিল না চিকিৎসকদের। এখন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকেরা রোগীদের প্লেটলেট করিয়ে দেখে নিতে পারছেন। সেই মতো চিকিৎসাও করতে পারছেন।

এ দিন থেকেই চালু হয়েছে ‘প্যাকড সেল ভল্যুম’ ব্যবস্থাও। সুপার জানান, ‘‘ডেঙ্গি-আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে ‘প্যাকড সেল ভল্যুম খুব বেড়ে যাওয়া ও খুব কমে যাওয়া দু’টোই আশঙ্কাজনক।’’

সোমবার হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি রোগীর আছেন ১৫৮ জন। অনেককে মেঝেতেও রাখতে হয়েছে। তবে পরীক্ষার চালু হওয়ার খুশি রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE