খবির আলি।
ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে মাকে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বৃদ্ধার নাম ফতেমা বিবি (৭৯)। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ছেলে খবির আলিকে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার নুরনগর পঞ্চায়েতের মোহনপুরের মাঝেরপাড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ফতেমা বিবির দুই মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, সোমবার মেয়েদের বাড়িতে কাঁঠাল পাঠানো নিয়ে ছেলে ও মায়ের মধ্যে বচসা বাধে। সেই সময়ে রেগে গিয়ে খবির ইট দিয়ে মার মাথায় আঘাত করে মাথা থেঁতলে দেয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধা। প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে বৃদ্ধার অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি নার্সিংহোমে। পরে রাতে সেখানেই মারা যান ওই বৃদ্ধা।
মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই মঙ্গলবার সকালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার বাসিন্দা ও বৃদ্ধার আত্মীয়-পরিজনেরা। ‘খুনি’ ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তাঁরা বাড়িতে চড়াও হন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। এর পরেই দেগঙ্গা থানার পুলিশ এসে ছেলেকে গ্রেফতার করে। এলাকার মানুষ জানান, প্রায়ই মা ও ছেলের মধ্যে ঝগড়া হত। বাড়ির গাছের ফলমূল মেয়েদের বাড়িতে পাঠাতে চাইতেন মা। ছেলে বাধা দিতেন। তা নিয়েও অশান্তি হত। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ইয়াদুল ইসলাম (মিন্টু) বলেন, ‘‘ছেলে হয়ে মাকে এ ভাবে মেরে ফেলার ঘটনা কিছুতেই এলাকার মানুষ মেনে নিতে পারছেন না। এমন ছেলের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।’’
পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের ধারণা, মা-ছেলের ঝগড়ার সময়ে ইটের আঘাতেই জখম হন ওই বৃদ্ধা। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, তার জেরেই পরে মৃত্যু হয় মায়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy