Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বাড়িতে উদ্ধার ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ

ওই সন্ধ্যায় মনীষার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। সন্ধ্যার পরে মনীষারও বাবা-মায়ের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাত পর্যন্ত তিনি না পৌঁছনোয় মেয়েকে একাধিক বার ফোন করেন বাবা-মা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০২:১০
Share: Save:

এক কলেজপড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার বোড়াল এলাকার লেকপল্লির একটি বাড়িতে। মৃতার নাম মনীষা সাহা (২০)। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই ছাত্রীর দেহটি উদ্ধার করা হয়। দেহটি নামানোর পরে দেখা যায় ওই ছাত্রীর বাঁ হাতের কব্জির নীচে একাধিক কাটা চিহ্নও রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ওই সন্ধ্যায় মনীষার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। সন্ধ্যার পরে মনীষারও বাবা-মায়ের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাত পর্যন্ত তিনি না পৌঁছনোয় মেয়েকে একাধিক বার ফোন করেন বাবা-মা। সাড়া না পেয়ে ফিরে এসে তাঁরা দেখেন, ঘরের দরজা বন্ধ। ধাক্কাধাক্কি করেও কোনও সাড়া মেলেনি। শেষে প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজা ভাঙতেই দেখা যায় কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, প্রেম ঘটিত কোনও কারণেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই ছাত্রী। তার জেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা পুলিশের। মনীষার বাবা জানিয়েছেন, অধিকাংশ সময়েই মোবাইল ফোনে কথা বলতেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। খুব কম কথা বলছিলেন।

পুলিশকে মনীষার বাবা জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই ফোনে কথা বলার পরে কান্নাকাটি করতেন মনীষা। তিনি বলেন, ‘‘কিছু জিজ্ঞাসা করলে কোনও উত্তর দিত না। কোনও বন্ধুর সঙ্গে সম্প্রতি মনোমালিন্য চলছিল বলেই মনে হচ্ছে।’’

তদন্তকারীদের কথায়, ওই ছাত্রীর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু হাতের শিরা কাটার বিষয়ে ধন্দে রয়েছেন তদন্তকারীরা। এক তদন্তকারীর কথায়, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, হাতের শিরা কেটে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ওই ছাত্রী। হাতে ধারাল কিছু দিয়ে আঘাত করার ফলে অল্প ক্ষত হয়েছে। কিন্তু তাতে যথেষ্ট ক্ষতি না করতে পেরে শেষে তিনি সিদ্ধান্ত বদলান। পরবর্তী পর্যায়ে তিনি ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন বলে অনুামন পুলিশের। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘর থেকে একটি ব্লেডও মিলেছে। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, মোবাইলের কললিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই সময়ে কোন কোন ব্যক্তির সঙ্গে মনীষার কথা হয়েছিল, তা দেখা হবে। প্রয়োজনে ওই ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE