Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিত রামিজ, দাবি পুলিশের

বসিরহাট পুলিশের দাবি, আসাদ এবং বসিরের নামে বাংলাদেশে একাধিক রাজনৈতিক খুন, দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ আছে। দিল্লির বাসিন্দা রেখা জেরায় স্বীকার করেছে, আন্তর্জাতিক সোনা পাচার চক্রে সে জড়িত।

ছবি: এএফপি।

ছবি: এএফপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:১৩
Share: Save:

বসিরহাট সীমান্তে দুই অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা-সহ তিন জনকে ধরে আরও এক দুষ্কৃতীর হদিস পেল পুলিশ। ধৃত মহম্মদ রামিজ রাজা ওরফে বাপি এ দেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিত বলে জানা গিয়েছে। অন্য দুই ধৃত রোহিঙ্গা যুবকের নামে বাংলাদেশে একাধিক রাজনৈতিক খুন, দেশদ্রোহিতার মামলা আছে বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ জানায়, ২৩ নভেম্বর চোরাপথে এ দেশে ঢোকার সময়ে বিএসএফ পাকড়াও করে আসাদ আহমেদ, বসির আহমেদ ওরফে রফিক এবং রেখাকে। তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের পরে তারা আপাত, আছে দমদম সেন্ট্রাল জেলে। ওই তিন জনের ঘনিষ্ঠ রামিজকে বৃহস্পতিবার বসিরহাটের হরিশপুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধরে পুলিশ। তাকে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বসিরহাট আদালতের বিচারক।

বসিরহাট পুলিশের দাবি, আসাদ এবং বসিরের নামে বাংলাদেশে একাধিক রাজনৈতিক খুন, দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ আছে। দিল্লির বাসিন্দা রেখা জেরায় স্বীকার করেছে, আন্তর্জাতিক সোনা পাচার চক্রে সে জড়িত। দুষ্কৃতীরা কোনও নাশকতামূলক কাজের ছক কষে এ দেশে এসেছিল কিনা, তা জানতে দফায় দফায় জেরা করছেন কেন্দ্র এবং রাজ্য গোয়েন্দারা। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুই বলেন, ‘‘চার জনকে ধরা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’

পুলিশ জানায়, বাংলাদেশের গাজিটাকার মৌলবি বাজার এলাকার বাসিন্দা আসাদ আহমেদ এবং ব্রাহ্মণবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বসির। রেখার বাড়ি দিল্লিতে। তদন্তকারী অফিসার শুভাশিস প্রামাণিক এবং গণেশ হালদার জানান, আদালতের কাছে আসাদ এবং বসির দাবি করেছে, আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা হলেও তারা প্যারিসে ‘রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু’ হিসাবে নাগরিকত্ব পেয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৮-০৯ সাল নাগাদ বাংলাদেশে খুন-দাঙ্গায় নাম জড়ায় আসাদ-বসিরের। পুলিশের তাড়া খেয়ে প্যারিসে পালায়। সেখান থেকে টাকা এনে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। তদন্তকারী এক অফিসারের দাবি, প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে, ভারতে রোহিঙ্গাদের জোটবদ্ধ করতে এসেছিল আসাদ ও বসির। পুলিশ আরও জানতে পারে, বারাসতের আরিফবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রামিজ রাজা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিত। পুলিশের আরও দাবি, প্রাথমিক জেরায় রেখা জানিয়েছে, সে আন্তর্জাতিক সোনা পাচারে জড়িত। এ জন্য গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ, দুবাই, ব্যাঙ্কক, থাইল্যান্ডের মতো একাধিক দেশে প্রায় ৯০ বার গিয়েছে। সেই সূত্রেই রোহিঙ্গাদের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE