Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্র কারখানার হদিস, গ্রেফতার ২

রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জীবনতলা থানার খুনখালির খাগড়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আকবর সর্দার ও আমিন সাঁপুইকে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উদ্ধার: অস্ত্র। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

উদ্ধার: অস্ত্র। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা 
ভাঙড় শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৫২
Share: Save:

জীবনতলায় একটি অস্ত্র কারখানার হদিস পেল পুলিশ। ওই কারখানা থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জীবনতলা থানার খুনখালির খাগড়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আকবর সর্দার ও আমিন সাঁপুইকে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বাড়ি জীবনতলা থানা এলাকায়। ওই অস্ত্র কারখানা থেকে ৩টি একনলা বন্দুক, ৩টি পাইপগান, ১টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১টি ৭ এমএম পিস্তল, ২টি গুলি, ৬টি অসমাপ্ত ম্যাগাজিন, ড্রিল মেশিন-সহ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার হয়। বারুইপুর পুলিশ জেলা পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খান বলেন, ‘‘আমরা খবর পেয়েছিলাম। ওই এলাকায় একটি অস্ত্র কারখানা রয়েছে। সেই মতো পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন পালিয়েছে। তার খোঁজ চলছে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার বাসিন্দা আকবর তার বাড়িতে বসে বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করত। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র সারাইয়ের কাজও করত সে।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেশ কয়েকবার পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ গ্রামে ঢুকতেই তার কাছে খবর চলে যেত। তার বাড়ির চারপাশে চর লাগানো ছিল বলে পুলিশ কিছুতেই তার নাগাল পাচ্ছিল না। এ দিন বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষ্মীরতন বিশ্বাস ও জীবনতলা থানার ওসি সুভাষ ঘোষ পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় অভিযান চালান। তবে এ দিন পুলিশের গাড়ি আকবরের বাড়ি থেকে দু’কিলোমিটার দূরে রেখে ছোট ছোট দলে হেঁটে গিয়ে ওই অস্ত্র কারখানা ঘিরে ফেলে। এর মধ্যেই তাদের কাছে চর মারফত খবর চলে আসে। তারা পালানোর চেষ্টা করলেও পুলিশ তাদের দু’জনকে ধরে।

এ দিন রাতে পুলিশ ওহাবের বাড়িতেও অভিযান চালায়। সেখান থেকে একটি পাইপগান ও বোমা তৈরির মসলা উদ্ধার হয়। পুলিশ ধৃতদের জেরা করে জানতে পেরেছে, তারা আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করে মিনাখাঁ হাড়োয়া, গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিং-সহ দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Police Ammunition Factory
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE