মেছোভেড়ি দখলকে কেন্দ্র করে দিন তিনেক ধরেই দুই গোষ্ঠীর গোলমাল চলছিল শাসনে। তার জেরে ঘরবন্দি করে রাখা এক যুবককে উদ্ধার করতে গিয়ে শনিবার সহরা গ্রামে আক্রান্ত হল পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছোড়া হয়। তাতে জখম হন দুই পুলিশকর্মী। শেষমেশ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। উদ্ধার করা হয় বাপি মণ্ডল নামে ঘরবন্দি যুবককে। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নামে পুলিশ লাঠি চালায়। তাতে দুই মহিলা জখম হন। পুলিশ লাঠি চালানোর অভিযোগ মানেনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘দুই গোষ্ঠীর গোলমাল ঠেকাতে পুলিশ গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে জনতাকে ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মেছোভেড়ির একটি গোষ্ঠীর সদস্য শেখ আজুবারের বিরুদ্ধে তাঁর উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ করেন আর এক গোষ্ঠীর সদস্য বাপি মণ্ডল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই রাতেই শেখ আজুবারকে পুলিশ গ্রেফতার করে। শনিবার সকালে আজুবারের দলবল বাপিকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভেড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রাখে এবং মারধর করে বলে অভিযোগ। বাপির লোকজন পুলিশের শরণাপন্ন হন। শাসন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাপিকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন। শুরু হয় গোলমাল। পুলিশ আজুবারকে ছাড়লে তবেই বাপিকে ছাড়া হবে— এই দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ অবশ্য সেই দাবি মানেনি। এর পরেই পুলিশকে লক্ষ করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। পরে পুলিশ বাপিকে উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy