প্রতীকী ছবি।
যে মাঠে বৃহস্পতিবার জনসভা করে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, আগামী ৯ ডিসেম্বর সেখানেই জনসভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, গোপালনগরের হরিপদ ইন্সটিটিউশনের ওই মাঠে ৯ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী জনসভার প্রস্তুতি রবিবার থেকেই শুরু করেছেন তাঁরা।মুখ্যমন্ত্রীর জনসভাকে সামনে রেখে ভোটের আগে বনগাঁ মহকুমায় ঘুরে দাঁড়ানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। লোকসভা ভোটের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বনগাঁ মহকুমায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেব্রুয়ারি মাসে বনগাঁ স্টেডিয়ামে সভা করেছিলেন তিনি। তবে বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এ বারের সভা রাজনৈতিক ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সাম্প্রতিক সময়ে বনগাঁ মহকুমায় বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি ৪টিতে জয়লাভ করে। লোকসভা ভোটে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছিল। রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলের খাসতালুক হিসাবে পরিচিত বনগাঁয় লোকসভায় লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। মতুয়া ভক্তদের একটা বড় অংশের সমর্থন পেয়েছিল বিজেপি। লোকসভার অন্তর্গত মহকুমার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থী মমতা ঠাকুর পিছিয়ে ছিলেন।
লোকসভা ভোটের পর তৃণমূলের বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগদান করেছেন। বনগাঁ পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলরও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের এখানে শক্তিক্ষয় হয়েছে। দিন কয়েক আগে আবার শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়ার পোস্টার পড়েছিল বনগাঁ শহরে।
সভা সফল করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার গোবরডাঙায় প্রস্তুতি মিটিং করেছেন জ্যোতিপ্রিয়। সেখানে দলীয় কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় আমরা ২ লক্ষ মানুষের জমায়েত করার টার্গেট নিয়েছি। বনগাঁ মহকুমার বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে আসা হবে না। জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় আমরা প্রমাণ করে দেব, তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি এই মহকুমা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy