প্রতীকী ছবি।
দ্রুত করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেতে শুক্রবার থেকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চালু হল র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট।
গত কয়েক দিনে ক্যানিং মহকুমা জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই সংখ্যাটা দু’শো ছাড়িয়েছে। ক্যানিং, গোসাবা, বাসন্তী থেকে লালারস সংগ্রহ করে তা কলকাতায় পাঠাতে হত পরীক্ষার জন্য। সেই রিপোর্ট ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের হাতে এসে পৌঁছতে কখনও দু’দিন, কখনও বা আরও বেশি সময় লেগে যেত। এর ফলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সমস্যা হত। মাঝের সময়টুকুতে উপসর্গহীন রোগীর অসাবধানতায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও থাকত।
লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগে কোনও রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাঁকে কোভিড হাসপাতালের সিসিইউতে রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল। সম্প্রতি এই বিভ্রান্তির ফলে দু’জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা করতে গিয়ে সিসিইউর অন্যান্য রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সংক্রমিত হন। এই সমস্যার সমাধান ও দ্রুত রোগ নির্ণয় করে রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্যই এই র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন ৫০ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে এই হাসপাতালে। যদিও প্রথম দিন মাত্র ১১ জনের পরীক্ষা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। নাক থেকে লালারস সংগ্রহ করে এই পরীক্ষা করা হচ্ছে। ক্যানিং মহকুমার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পরিমল ডাকুয়া বলেন, “এর ফলে আরও দ্রুত রোগ নির্ণয় হবে। ফলে আরও ভাল চিকিৎসা পরিষেবা আক্রান্ত মানুষদের দেওয়া সম্ভব হবে।’’ হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালেও শুক্রবার থেকে শুরু হল র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। এই পদ্ধতিতে ৩০ মিনিটের মধ্যে করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ১৫ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতাল সুপার শঙ্করলাল ঘোষ বলেন, ‘‘এ দিন সকলেই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এই পদ্ধতিতে রোজ ৫০ জনের পরীক্ষা করা সম্ভব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy