Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

পাশের ঘরে শুয়ে ছেলে, শ্বাসরোধ করে খুন বৃদ্ধাকে

পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন ছেলে। সকালে উঠতে একটু দেরি হয়েছিল। উঠে দেখেন, বিছানার উপরে পড়ে মায়ের দেহ। পোশাক অবিন্যস্ত। আলমারির দরজা খোলা। ঘরে জিনিসপত্র লন্ডভন্ড হয়ে আছে। মায়ের দেহে প্রাণ নেই।

সুধারানি বিশ্বাস।

সুধারানি বিশ্বাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্যামনগর শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৭
Share: Save:

পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন ছেলে। সকালে উঠতে একটু দেরি হয়েছিল। উঠে দেখেন, বিছানার উপরে পড়ে মায়ের দেহ। পোশাক অবিন্যস্ত। আলমারির দরজা খোলা। ঘরে জিনিসপত্র লন্ডভন্ড হয়ে আছে। মায়ের দেহে প্রাণ নেই।

শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামনগরের গাঙ্গুলিপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম সুধারানি বিশ্বাস (৭২)। গাঙ্গুলিপাড়ার যে বাড়িটিতে সুধারানি থাকতেন সেই বাড়ির দলিলগুলি এ দিন খোয়া গিয়েছে বলে পরিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে।

মাসখানেক আগে বিরাটিতে মধ্য পঞ্চাশের এক মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রেও ছেলে পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। পুলিশ তদন্তে নেমে বারাসত থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে। চুরি করতে গিয়ে বাধা দেওয়ায় ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল বলে ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছিল পুলিশকে।

শ্যামনগরের ঘটনার খবর পেয়ে জগদ্দল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে বৃদ্ধাকে। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, জমি-সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই খুন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সুধারানিদেবীর এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে পিন্টুবাবু মায়ের সঙ্গেই থাকেন। অসুস্থ হয়ে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতেই বাড়ি ফিরেছিলেন। পুলিশ জানমতে পেরেছে, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মায়ের হাতে তৈরি রুটি-তরকারি খেয়ে নিজের ঘরে শুতে যান পিন্টুবাবু। পাশের ঘরেই ছিলেন সুধারানি।

পিন্টুবাবুর দাবি, ঘুম ভাঙার পরে মাকে ডাকতে গিয়ে ওই দৃশ্য দেখেন। তাঁর চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়ে যায়।

কারখানায় আগুন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল ব্যান্ডেলের কেওটা আশ্রমগলি এলাকার একটি গদি তৈরি কারখানায়। শুক্রবার বিকেলের ওই ঘটনায় ১ জন আহত হয়েছেন। দমকল সূত্রে খবর, শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিকেল ৪টা নাগাদ হঠাৎই ওই কারখানার দোতালায় আগুন লাগে। সে সময় কারখানার এক শ্রমিক রাহুল বিশ্বাস দোতালার পাশের ঘরে ছিলেন। আগুন ছড়িয়ে পড়ে কারখানার সর্বত্র। নীচে নামার সিঁড়ি আগুনের গ্রাসে চলে যায়। আটকে পড়েন রাহুলবাবু। তিনি তখন প্রাণ বাঁচাতে ছাদে উঠে আগুন লেগেছে বলে চিৎকার করেন। কিন্তু ততক্ষণে আগুন দোতালার ছাদ দিয়ে আগুন উপরের দিকেও ছড়িয়ে পড়েছে। কোনও উপায় না পেয়ে তিনি তিন তলার ছাদ ঝাঁপ দেন। গুরুতর আহত হন। তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Polic murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE