Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘গঙ্গোত্রী’ থেকে বেরনো দূষিত জলই এখন ভরসা

ডায়মন্ড হারবারের নিউ টাউনের বাসিন্দা এক চিকিৎসকের অভিযোগ, নোনা, বালিভর্তি ঘোলাজল তো সরবরাহ হচ্ছেই, জলে দুর্গন্ধ ও আবর্জনাও মিশে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই জল ব্যবহার করে বিশেষত শিশুদের চামড়ার ও পেটের রোগ ছড়াচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৮ ০২:০৭
Share: Save:

গঙ্গোত্রী থেকে বেরোচ্ছে বালিভর্তি নোনা পচা ঘোলা দুর্গন্ধযুক্ত জল!

হিমালয়ের গঙ্গোত্রী নয়। এই ‘গঙ্গোত্রী’ একটি জল প্রকল্প।

সেই প্রকল্পের পাইপ লাইনের ট্যাপ কল থেকে এখন নোংরা জলই মিলছে।

সেই জলই ভরসা ডায়মন্ড হারবার পুরবাসীর। সেই জলেই স্নান সারতে হচ্ছে। বাড়ির সমস্ত কাজে ব্যবহার করতে হচ্ছে। দূষিত জলে স্নান করে চামড়ায় র‍্যাশ বেরোচ্ছে। উঠে যাচ্ছে অনেকের মাথার চুল। প্রায় ৩৪ কোটি টাকা খরচে নির্মিত ‘গঙ্গোত্রী’ প্রকল্প থেকে পাওয়া এমন জল নিয়ে চিন্তায় পুরবাসী।

ডায়মন্ড হারবার পুরসভা ২০০৮ সালে ‘জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়্যাল মিশনে’র সহায়তায় ১৬টি ওয়ার্ডে পানীয় জল সরবরাহের জন্য ‘গঙ্গোত্রী’র অনুমোদন পায়। নদীর জল শোধন করে তা সরবরাহের ব্যবস্থা হয়। সেই মতো ডায়মন্ড হারবারেরর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কলেজের পিছনে প্রকল্পটি স্থাপিত হয়। এ কাজের জন্য নিউটাউন, পুরাতন বাজার ও ধনবেড়িয়া এলাকায় তিনটি ট্যাঙ্কও তৈরি হয়। বছর দেড়েক আগেই ওই ট্যাঙ্ক থেকে ১৬টি ওয়ার্ডে জল সরবরাহ শুরু হয়েছে। প্রায় সমস্ত ওয়ার্ডে জলের জোগান যথেষ্ট থাকলেও কয়েকটি ওয়ার্ড বাদে অধিকাংশ ওয়ার্ডেই নোংরা নোনা জল সরবরাহ হচ্ছে। সেই জল পানীয় হিসাবেও ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন এলাকাবাসী। ফলে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।

ডায়মন্ড হারবারের নিউ টাউনের বাসিন্দা এক চিকিৎসকের অভিযোগ, নোনা, বালিভর্তি ঘোলাজল তো সরবরাহ হচ্ছেই, জলে দুর্গন্ধ ও আবর্জনাও মিশে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই জল ব্যবহার করে বিশেষত শিশুদের চামড়ার ও পেটের রোগ ছড়াচ্ছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের ওই প্রকল্পে টাকা সঠিক ভাবে খরচ করা হয়নি। বহু টাকা নয়ছয় হওয়ায় জল সরবরাহের পদ্ধতিতে ত্রুটি থেকে গিয়েছে। ডায়মন্ড হারবারের সিপিএমের নেতা সমর নাইয়া বলেন, ‘‘পাইপ লাইনের জল নোনা অস্বাস্থ্যকর বলে অনেকে ব্যবহার করতে পারছেন না। দূরের নলকূপ থেকে কষ্ট করে জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে।’’

ডায়মন্ড হারবারের পুরপ্রধান মীরা হালদার বলেন, ‘‘সমস্ত বিষয় বিভাগীয় দফতরকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। গরমে নদীর জলস্তর নেমে যাওয়ায় জল লবণাক্ত। নোনা ভাব কমানোর জন্য উন্নত মানের ফিল্টার দরকার। বোর্ড মিটিংয়ে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য আপাতত আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে সাব মার্সিবল পাম্প বসিয়ে জল সরবরাহের চেষ্টা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Gangotri project Diamond Harbour Dirty water
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE