এ ভাবেই উদ্ধার হয়েছে সুদৃশ্য পাত্র ভর্তি সাপের বিষ। নিজস্ব চিত্র
পাচার হওয়ার পথে ধরা পড়ে গেল ১০০ কোটি টাকার সাপের বিষ!
পুলিশ ও বন দফতর সূত্রের খবর, বাংলাদেশ থেকে কলকাতা হয়ে চিনে পাচারের মতলবে আনা হয়েছিল ওই বিষ। মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারাসতে হানা দিয়ে তা ধরে ফেলা হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন পাচারকারীকেও। এ দিন সশস্ত্র সেবা বল, সিআইডি-র স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ এবং বন দফতর একযোগে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক ওই পাচার-চক্রটিকে ধরে ফেলে। ওই চক্রের আরও কয়েক জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
মোট তিনটি জারে ভরে নিয়ে আসা হচ্ছিল ওই বিষ। বিশেষ ধরনের ওই জারগুলির মূল্যও কয়েক লক্ষ টাকা। তদন্তকারীদের কাছে খবর ছিল, কলকাতা দিয়ে সাপের বিষ পাচার করতে চলেছে এক আন্তর্জাতিক পাচার-চক্র। কিছু দিন ধরে গোপনে তা নিয়ে তল্লাশিও চালানো হচ্ছিল।
এ দিন পাচারকারীরা প্রথমে তেঘরিয়া আসবে বলে খবর ছিল। সেইমতো ফাঁদ পাতা হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জায়গা বদলে ফেলে পাচারকারীরা। শেষমেশ দুপুরে বারাসতের রথতলায় ধরা হয় তাদের। উদ্ধার হয় সাপের বিষ ভর্তি তিনটি জার, যার দাম প্রায় ১০০ কোটি টাকা! এর পরে বারাসতে বন দফতরের অফিসে জেরা করা হয় তিন জনকে। ধৃতেরা হল, টালিগঞ্জের বাসিন্দা দেবজ্যোতি বসু, মধ্যমগ্রামের নয়ন দে এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বুদ্ধদেব খাঁড়া। আজ, বুধবার তাদের বারাসত আদালতে তোলা হবে।
সশস্ত্র সীমা বলের ৬৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্রান্স থেকে আনা হয়েছিল ওই বিষ। গন্তব্য ছিল চিন। সেখানে ওষুধ তৈরির জন্য সাপের বিষের বিপুল চাহিদা। জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে এই বিষ আনা হয়। কলকাতা থেকে নেপাল হয়ে ওই বিষ চিনে পাচারের মতলব ছিল তাদের। বন দফতরের রেঞ্জ অফিসার সুকুমার দাস বলেন, ‘‘ওই চক্রে আরও কয়েক জন রয়েছে। তাদের কাছে আরও বিষ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।’’ ধৃতদের জেরা করে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি
চালানো হবে বলে জানান তদন্তকারীরা।
এর আগে নৈহাটি থেকে কয়েক কোটি টাকার সাপের বিষ-সহ ছ’জন ধরা পড়েছিল। বন দফতর তদন্তে জানতে পারে, ধৃতেরা নেহাতই চুনোপুঁটি। তাদের পিছনে আন্তর্জাতিক মাদক-চক্র রয়েছে। বন দফতরের এক কর্তা জানান, শহরের বিভিন্ন ‘রেভ পার্টি’-তেও সাপের বিষ সরবরাহ করা
হত। যদিও তার পরে সেই তদন্ত আর
এগোয়নি। বছর দুয়েক আগে সাপের বিষ ধরা পড়েছিল উত্তরবঙ্গেও। তবে এর পিছনে পরিকাঠামো ও কর্মীর অভাবকেই দায়ী করেছেন বনকর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy