জয়নগরে অধীর চৌধুরী।
সামান্য ক্ষমতার লোভে বা অন্য প্রলোভনে তাঁদের দলের কর্মীরা অনেকে অন্য দলে চলে গিয়েছেন বলে দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার জয়নগরের শিবনাথ শাস্ত্রী সদনে দলের কর্মিসভায় এসে দলছুটদের প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন অধীর। যদিও কর্মিসভায় কয়েকশো লোককে হাজির থাকতে দেখে তিনি যে উজ্জীবিত, সে কথা নিজমুখেই স্বীকার করেছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর-মজিলপুর পুরসভায় কংগ্রেস বহু দিন ধরেই শক্তিশালী। আগে কয়েক বার পুরসভার দখলেও রেখেছিল তারা। গত পুরভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও তারা বোর্ড ধরে রাখতে পারেনি। কিন্তু এলাকায় সংগঠন এখনও বেশ মজবুত। গত বার ১৪টি আসনের মধ্যে ৬টিতে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। তৃণমূল পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন। কিন্তু এসইউসি এবং নির্দলের তিন জয়ী প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠন করে তারাই। পুরপ্রধান হন তৃণমূলের ফরিদা বেগম শেখ।
এ দিন কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি অর্ণব রায়, শহর কংগ্রেস সভাপতি প্রশান্ত সরখেলরাও। বেশ কিছু নেতার বক্তব্য শোনার পরে বক্তৃতা করতে উঠে অধীর বলেন, জয়নগর-মজিলপুরে ভাল ফল করার ব্যাপারে তাঁদের স্থানীয় নেতৃত্ব আশাবাদী। তেমনটা ঘটলে এই জেলায় তো বটেই, গোটা রাজ্যে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা উৎসাহিত হবেন। প্রত্যাশিত ভাবেই, এ দিন পূর্বতন বাম সরকার ও বর্তমান শাসকদলের কড়া সমালোচনা করেন অধীর। রানাঘাটে নারী নিগ্রহ, আলু চাষিদের আত্মহত্যা, সন্ত্রাস-সহ নানা প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল সরকারকে বিঁধেছেন তিনি। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন ও রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুকে নিয়ে ডেলোয় মুখ্যমন্ত্রী যে বৈঠক করেছিলেন বলে খবর, সেই প্রসঙ্গ তুলে অধীরের কটাক্ষ, ‘‘নবান্নে ওই বৈঠক করা গেল না কেন? নবান্নে কি চেয়ার-টেবিল কম পড়েছিল?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy