ধৃত: প্রকাশ কুণ্ডু
হাঁস কাটা নিয়ে গন্ডগোলের জেরে মায়ের হাত মুচড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। দিন কয়েক আগের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রবিবার দুপুরে মদ খেয়ে ছেলে এসে ফের বাড়িতে তাণ্ডব করে বলে অভিযোগ। মারধর করে বৃদ্ধ মা ও বাবাকে।
এরপরেই ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে ঊর্মিলা কুণ্ডু নামে ওই বৃদ্ধার। তিনি হাবড়া থানায় পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। এলাকার লোকজন প্রকাশ কুণ্ডু নামে বৃদ্ধার ছেলেকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পুলিশ এসে প্রকাশকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে পুলিশ তাকে বেআইনি দেশি মদ বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করে। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ তাকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে কয়েক লিটার দেশি মদও আটক করেছে।
পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই প্রকাশের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে দেশি মদ বিক্রির অভিযোগ ছিল। পুলিশ তাকে খুঁজছিল। তার মা আমাদের কাছে মৌখিক ভাবে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঊর্মিলার পাঁচ ছেলে মেয়ে। এক ছেলে মারা গিয়েছে। বড় ছেলে আলাদা থাকে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাঁরা দিল্লিতে থাকেন। মেজো ছেলে প্রকাশ ও অসুস্থ স্বামী অনিলকে নিয়ে উর্মিলা থাকেন। অন্যের বাড়িতে কাজ করে তিনি সংসার চালান। উর্মিলা বলেন, ‘‘মেয়ে-জামাইকে হাঁসের মাংস খাওয়াবো বলে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু তার আগেই প্রকাশ বন্ধুদের নিয়ে এসে ওই হাঁস কাটতে যায়। বাধা দিলে আমায় মারধর করে।’’
পুলিশ জানায়, প্রকাশ রঙের কাজ করে। বিয়ে হয়েছিল। কয়েক বছর আগে বৌ তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। প্রকাশের ডাক নাম পিকে। ওই নামেই সকলে তাকে চেনে। মদ খেয়ে বাড়িতে ও এলাকায় মাতলামো করে বলে অভিযোগ। সংসারে আয়ের কোনও টাকা সে দেয় না।
ঊর্মিলা জানান, মদ খেয়ে বাড়ি এসে প্রায়ই ছেলে তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। তাঁর কথায়, ‘‘মদ খাওয়ার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলেই শুরু হয় নির্যাতন। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। মাঝেমধ্যে টাকা দিই। সব মদ খেয়ে উড়িয়ে দেয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy