Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এলাকাবাসী, বাড়ছে জ্বরও

জ্বরের প্রকোপ ছিলই। এর উপর বেসরকারি ক্লিনিকে করা রক্তপরীক্ষার রিপোর্টে এনএসওয়ান জীবাণু মেলায় ডেঙ্গির আতঙ্কও দেখা দিয়েছে বসিরহাট পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে।

— ফাইল চিত্র।

— ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৮ ০১:০৮
Share: Save:

জ্বরের প্রকোপ ছিলই। এর উপর বেসরকারি ক্লিনিকে করা রক্তপরীক্ষার রিপোর্টে এনএসওয়ান জীবাণু মেলায় ডেঙ্গির আতঙ্কও দেখা দিয়েছে বসিরহাট পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে।

বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শহরের একটি ওয়ার্ডের মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শুনেছি। ওই এলাকায় চিকিৎসক-সহ একটি দল পাঠানো হচ্ছে।’’

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজোর মধ্যে বসিরহাট থানার কাছে আর এন মুখার্জি রোডের দু’পাশের বেশ কয়েকজন দোকানি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। এই পরিস্থিতির কথা জানা সত্ত্বেও দু’একবার মাত্র চুন-ব্লিচিং ছড়ানো এবং নিকাশি নালা পরিষ্কার ছাড়া প্রতিরোধের আর কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি পুরসভা। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ সহিদুল্লাহ বলেন, ‘‘নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হচ্ছে, চুন-ব্লিচিংও ছড়ানো হচ্ছে।’’

বসিরহাট পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আর এন রোডের দু’পাশে সারি সারি দোকান। সেখানে জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত ৩০ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। আর এক স্থানীয় বাসিন্দা আশিস নন্দী বলেন, ‘‘আমার ভাই জ্বরে ভুগছিল। পুরসভার অ্যালাইজা মেশিনে রক্ত পরীক্ষায় ভাইয়ের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। অথচ পুরসভার পক্ষে দু’এক দিন ব্লিচিং ছড়িয়েই দায় সারা হয়েছে।’’

রিপোর্ট: রক্ত পরীক্ষার পর। নিজস্ব চিত্র

স্থানীয় ব্যবসায়ী অসীম দে জানান, তিনি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে এক সপ্তাহ, পরে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে ১৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাড়ি ফিরেছেন।

আর এক স্থানীয় বাসিন্দা অসীম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমার মেয়ের জ্বর হলে রক্ত পরীক্ষা করাই। ওর রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে।’’ এ দিকে হাসপাতালের রিপোর্টে এই জ্বরকে ‘অজানা জ্বর’ বলা হচ্ছে বলে দাবি করে অসীমবাবু আরও বলেন, ‘‘শুনছি, পুজোর সময়ে এলাকা পরিষ্কারের জন্য কাউন্সিলারেরা অনেক টাকা পেয়েছেন। অথচ নিকাশি নালা পরিষ্কার হয় না। যত্রতত্র অপরিষ্কার ডোবা। আগাছা, জলা জায়গায় ভরা। দু’দিন গন্ধবিহীন চুন-ব্লিচিং ছড়ানো হয়েছে। মশা মারার তেল স্প্রে করা হচ্ছে না।’’ বসিরহাট জেলা হাসপাতালের সুপার বলেন, ‘‘বসিরহাট এক ব্লকে কয়েকজনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। বসিরহাট হাসপাতালে ৫-৬ জন ডেঙ্গি নিয়ে ভর্তি আছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Basirhat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE