Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
ডায়মন্ড হারবারে খালপাড়ে ধস

কেন পরামর্শ নেওয়া হল না, উষ্মা মন্ত্রীর

পুরসভার উদ্যোগে খালপাড়ের যে বাঁধ তৈরি হয়েছিল, তা ধসে গিয়ে বড়সড় বিপত্তি বেধেছে ডায়মন্ড হারবারে। এ বার সেচ দফতর দায়িত্ব নিয়ে ওই বাঁধ এক মাসের মধ্যে তৈরি করে দেবে বলে জানালেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

পরিদর্শন: খালের পাড়ে এলেন মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

পরিদর্শন: খালের পাড়ে এলেন মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

দিলীপ নস্কর
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:১০
Share: Save:

পুরসভার উদ্যোগে খালপাড়ের যে বাঁধ তৈরি হয়েছিল, তা ধসে গিয়ে বড়সড় বিপত্তি বেধেছে ডায়মন্ড হারবারে। এ বার সেচ দফতর দায়িত্ব নিয়ে ওই বাঁধ এক মাসের মধ্যে তৈরি করে দেবে বলে জানালেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

১০ মার্চ ভোরে ডায়মন্ড হারবারের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মগরাহাট খালের পাড়ে কংক্রিটের তৈরি বাঁধের প্রায় সাড়ে তিনশো ফুট এলাকায় ধস নামে। এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। বহু মানুষের যাতায়াত বাঁধের উপরের রাস্তা দিয়ে। বিচারকদের আবাসনও ওই এলাকায়। হঠাৎ বাঁধ ধসে গিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এমনকী, ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালেও এক দিন জলের সরবরাহ বন্ধ ছিল। এলাকায় ত্রাণশিবির বসে স্থানীয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবকী হালদারের উদ্যোগে। কয়েকটি পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। কাউন্সিলরেরই উদ্যোগে খালপাড়ে দিনরাত পাহারায় বসে স্থানীয় কিছু যুবক।

বাঁধের পাড়ে তড়িঘড়ি শালবল্লার খুঁটি পোঁতার কাজ শুরু করে সেচ দফতর। সেই কাজ এখনও চলছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার এলাকায় এসেছিলেন সেচমন্ত্রী। ঘটনাটি নিয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। পুরকর্মীদের ডেকে জানতে চান, কোন সময়ে বাঁধ তৈরি হয়েছিল। মন্ত্রীকে জানানো হয়, বছরখানেক আগে পুরসভার উদ্যোগেই প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ তৈরি হয়েছিল।

রাজীববাবু এ বার ডেকে নেন পুরসভার বাস্তুকার প্রবীরকুমার পোল্যেকে। তিনি ছিলেন ভিড়ের আড়ালে। মন্ত্রী তাঁর কাছে জানতে চান, বাঁধ তৈরির আগে সেচ দফতরকে জানানো হয়েছিল কিনা। উত্তর মেলে, মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিল। উত্তর শুনে বেশ বিরক্ত মন্ত্রী। গুরুত্বপূর্ণ এই বাঁধ তৈরির সময়ে কেন সেচ দফতরের পরামর্শ নেওয়া হল না, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘‘ভুল পরিকল্পনার জন্য জনগণের টাকা জলে গেল।’’ বাস্তুকার নিচুগলায় বলার চেষ্টা করেছিলেন, নির্মাণে ত্রুটি ছিল না। কিন্তু সে সব কথা কানেই নেননি মন্ত্রী। পরে তিনি জানান, সেচ দফতর বাঁধের দায়িত্ব নিচ্ছে। মে মাসে কাজ শুরু হবে। একমাসের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।

পুরপ্রধান মীরা হালদারও দাবি করেন, বাঁধ তৈরিতে ত্রুটি ছিল না বলে। যদিও সে কথাতেও তেমন গুরুত্ব দেননি মন্ত্রী।

এ দিন পরে বাঁধের পরিস্থিতি দেখতে এলাকায় আসেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বাঁধ নির্মাণে ত্রুটি ছিল বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE