থানায় বাম নেতারা। —নিজস্ব চিত্র।
দলীয় কার্যালয় খুলতে যাওয়ার পথে রবিবার সকালে ক্যানিঙের জীবনতলা বাজারে সিপিএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার ওই এলাকায় দিয়ে দলীয় সমর্থকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন ক্যানিং পূর্বের সিপিএম প্রার্থী আজিজার রহমান মোল্লা। তাঁরা জীবনতলায় সিপিএমের লোকাল কমিটির অফিসে গিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুজনবাবু বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীদের মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষকে উজ্জীবিত করতে হবে। কর্মীদের কোনওরকম প্ররোচনায় পা দিতে নিষেধ করেছি। ক্যানিং ২ ব্লকের নির্বাচন সংক্রান্ত সর্বদলীয় বৈঠকের বিষয়ে আমাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়নি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানাবো।’’ গতকাল খড়গপুরে নরেন্দ্র মোদীর জনসভার বিষয়ে তাঁর দাবি, নারদ কাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চুপ। কারণ রাজ্যসভায় তাঁদের তৃণমূলের সমর্থন চাই।
কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পরে তিনি জীবনতলা থানায় যান। সেখানে পুলিশের সঙ্গে দেখা করে দলীয় কর্মীকে মারধরে অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। সুজনবাবুর দাবি, ‘‘কাল যা ঘটেছে খুবই নিন্দনীয়। পুলিশের উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সিপিএমের জীবনতলা লোকাল কমিটির ওই কার্যালয়টি প্রায় পাঁচ বছর ধরে বন্ধ ছিল। শুক্রবার সেটি খোলা হয়। রবিবার সকালে সাহাবুদ্দিন ইসলাম নামে এক সিপিএম সমর্থক ওই কার্যালয় খুলতে যাওয়ার সময় পাশের একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সে সময় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা তাঁকে মারধর করে। তৃণমূল যদিও কোনও অভিযোগই মানেনি। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সওকত মোল্লা বলেন, ‘‘সুজনবাবুদের মুখে এই ধরনের কথা মানায় না। ওঁরা ৩৪ বছর ধরে খুন সন্ত্রাসের রাজনীতি করেছেন। ক্যানিং পূর্ব এলাকায় কোনও সমস্যা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy