ব্যতিক্রমী: আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হল ভার্চুয়াল জগতেও
দেশজুড়ে লকডাউন। করোনা-মোকাবিলায় বাড়ির বাইরে বেরোনো বারণ। এই পরিস্থিতিতেও প্রিয় শিক্ষকের অবসরে সহকর্মীদের বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া আটকাল না। বাড়িতে থেকেই প্রযুক্তির সাহায্যে এক অবসর নেওয়া সহকারী শিক্ষককে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভার্চুয়াল ফেয়ারওয়েল জানালেন সহকর্মীরা। মোবাইলে ভিডিওকলের মাধ্যমে আয়োজন হয় বিদায় সংবর্ধনার।
বৃহস্পতিবার রায়দিঘির মথুরাপুর দক্ষিণ চক্রের গন্ডারগদি প্রাথমিক বিদালয়ের সহকারী শিক্ষক আশিসকুমার হালদারের স্কুল থেকে অবসর নেওয়ার দিন। এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন ওই শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি সঙ্গীত শিল্পী হিসেবেও খ্যাতি আছে তাঁর। লকডাউনের মধ্যে নীরবে তাঁর অবসর নেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি সহকর্মীরা। ওই স্কুল-সহ এলাকার অন্য কয়েকটি স্কুলের ৫ জন শিক্ষক ও স্কুল পরিদর্শক পরিকল্পনা করেন, এ দিন সকাল ১০টায় ভিডিওকলের মাধ্যমে বিদায় জানানো হবে। সেই মতো এ দিন প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে অনুষ্ঠান। স্কুল পরিদর্শক স্নেহজিৎ দে বলেন, ‘‘এমন একটা ব্যতিক্রমী সংবর্ধনা সভায় যোগ দিতে পেরে ভাল লাগছে। স্কুল জীবন ছেড়ে উনি নতুন রুটিন শুরু করবেন। দীর্ঘ পনেরো বছরে শিক্ষকতার পাশাপাশি ওঁকে হারমনিয়াম হাতে নানা অনুষ্ঠানে পেয়েছি। মানুষকে সম্মান করে নিজের সম্মান আদায় করে নেওয়ার গুণ আছে ওঁর।’’ গন্ডারগদি স্কুলের শিক্ষক রণজিৎকুমার বৈদ্য বলেন, ‘‘আশিসবাবু অবসর নেওয়ায় আমি অভিভাবকহীন হয়ে পড়লাম।’’ এ দিন সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন রায়দিঘির বকুলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিখিলকুমার সামন্ত। এ ছাড়াও যোগ দেন, বারুইপুরের শ্রীমন্তকুমার ঘোষ, উৎপলকুমার সামন্ত, অর্ণব হালদার, রণজিৎ এবং স্নেহজিৎ। সকলেই আশিসবাবুকে নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শোনান। বক্তব্য রাখেন আশিস নিজেও। আশিসের ছেলে অর্ণব বাবাকে অনুরোধ করেন, শিক্ষকতা জীবনের আনন্দময় মূহূর্ত নিয়ে কিছু বলার জন্য।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করা যায়, তার সাক্ষী থাকতে পেরে সকলেই আপ্লুত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy