নড়বড়ে: এই সেতু নিয়েই আতঙ্ক। নিজস্ব চিত্র
দু’ধারে ফাটল ধরেছে। তার মধ্যে জন্মেছে আগাছা। দু’ধারেই রেলিং থেকে খসে পড়ছে প্লাস্টার। রাস্তার সঙ্গে সেতুর সংযোগস্থলে তৈরি হয়েছে বড় গর্তও। সারি দিয়ে গাড়ি চললে দুলে ওঠে সেতুটি। ডায়মন্ড হারবারের ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগে নতুনপোল সেতুটি দীর্ঘ দিন ধরে এ রকমঅবস্থায় রয়েছে।
মাঝেরহাট সেতু দুর্ঘটনার পরে ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দারা এখন বেশ ভয়ে ভয়েই নতুনপোল সেতু পার হচ্ছেন। তাঁদের কথায়, ‘‘কী জানি, কখন এই সেতুটি ভেঙে পড়ে। সেতুটি ভেঙে পড়লে এলাকার যান-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।’’ ডায়মন্ড হারবারের এক বাসিন্দা জানান, ওই সেতুটি সংস্কারের বা বিকল্প যাতায়াতের ব্যবস্থা করার জন্য ২০০৩ সালে জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় দফতরে জানানো হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের কাজে উদ্যোগ করেনি।
ডায়মন্ড হারবার পুরসভার অধীনে ক্লিক খালের ওই সেতুর এক দিকে রয়েছে ১৫ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড। অন্য দিকে ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড। ১৯৫৯ সালে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে ওই সেতুটি পুর্ত দফতর থেকে নির্মাণ করে। প্রায় ৭৭ মিটার লম্বা ও ৮ মিটার চওড়া দু’ধারে দু’টি চওড়া বিমের উপরে কংক্রিটের ওই সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল।
ওই সেতুর উপর দিয়ে কাকদ্বীপ, নামখানা ও রায়দিঘির সমস্ত বাস যাতায়াত করে। কলকাতা, হাওড়া, দিঘা-সহ বিভিন্ন এলাকার বাসও চলে। গঙ্গাসাগর মেলায় ভিনরাজ্যের গাড়িও ওই সেতু পার হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সেতুটি যদি কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা হলে কলকাতা শহরের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হবে ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ মহকুমা এলাকা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতুটি যে এই দশায় রয়েছে, তা জানে সকলেই। কিন্তু কারও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। ডায়মন্ড হারবারের পুরপ্রধান মীরা হালদার বলেন, ‘‘সেতুর দূরবস্থার কথা জানি। আমরা সেতু মেরামত করতে পারব না। ওই সেতুটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কিছু করছেন না। ফের জানানো হবে।’’
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ডায়মন্ড হারবার শাখার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে অন্য দফতরে ছিল। মাস কয়েক আগে সেই দায়িত্ব তাদের হাতে দেওয়া হয়। সেতুর বর্তমান যা অবস্থা, তাতে সংস্কার করতে হবে বা নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ মতো কাজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy