Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

শহর সাফ শুরু বনগাঁয় 

সকাল ৬ টার সময়ে ট বাজার সংলগ্ন চাকদা সড়কে ঝাঁটা হাতে  সাফাই কর্মীদের দেখা গেল। কোর্ট রোড,  যশোর রোড,  বাগদা রোডেও চোখে পড়েছে সেই ছবি।

 সাফাই: বনগাঁয়। নিজস্ব চিত্র

সাফাই: বনগাঁয়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯ ০০:২০
Share: Save:

পুরপ্রধানের কাছ থেকে বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস পেয়ে বুধবার কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বনগাঁ পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাঁরা নেমে পড়লেন কাজে। সড়ক ঝাঁট দেওয়া থেকে শুরু করে, জমে থাকা আবর্জনা সাফ করতে দেখা যায় তাঁদের। বাঁশি বাজিয়ে বাড়ি থেকেও আবর্জনা সংগ্রহ করেছেন কর্মীরা। তবে এত কিছুর পরেও দিনের শেষে শহরের বহু জায়গায় আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সাফাই কর্মীদের বক্তব্য, আট দিনের জমে থাকা নোংরা সব একদিনে তুলে ফেলা সম্ভব ছিল না। দু’তিন দিন সময় লেগেই যাবে।

সকাল ৬ টার সময়ে ট বাজার সংলগ্ন চাকদা সড়কে ঝাঁটা হাতে সাফাই কর্মীদের দেখা গেল। কোর্ট রোড, যশোর রোড, বাগদা রোডেও চোখে পড়েছে সেই ছবি। মুন্নি সর্দার নামে এক মহিলা কর্মী জানালেন, এত দিন দৈনিক ১৭৫ টাকা করে পেতাম। পুরপ্রধান আশ্বাস দিয়েছেন, এখন থেকে প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এতে তাঁরা খুশি বলেই জানালেন মুন্নি। পৌনে ৭টা নাগাদ কোর্ট রোডে দেখা গেল, পুরসভার গাড়ি বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করছে। অজিত রাজবংশী নামে এক কর্মী বাঁশি বাজিয়ে কাজ করছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘রোজ আড়াইশো টাকা পেতাম। এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০০ টাকা।’’

রামনগর রোডের পাশে থাকা আবর্জনাও তোলা হয়েছে। বেলা ১২টা নাগাদ আমলাপাড়া চার রাস্তার মোড়ের কাছে রাস্তা থেকে আবর্জনা তোলার সময়ে এমন দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল, পথচলতি মানুষকে মুখে রুমাল বা শাড়ির আঁচল চাপা দিতে হয়। তবে এত দিন পরে কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বনগাঁবাসী।

এ দিন ভোরের আলো ফোটার পরে রাস্তায় আলো জ্বলে থাকতে দেখা যায়নি। পুরসভার স্বাস্থ্যদীপে রোগীরা স্বাভাবিক নিয়মে চিকিৎসা পেয়েছেন। পুরকর্মীদের রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গিয়েছে। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল থেকে আবর্জনা সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে নিকাশি নালা পরিষ্কার বা মশা প্রতিরোধে চুন-ব্লিচিং, তেল স্প্রে করতে দেখা যায়নি।

পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘‘দু’একদিনের মধ্যেই পুর পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। মশা মারার কাজও হবে।’’ তবে রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে কাজ ঠিকমতো এগোবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় আছে কোনও কোনও মহলে। বিজেপি নেতা মধুসূদন মণ্ডল বলেন, ‘‘পুরপ্রধানই মদত দিয়ে অচলাবস্থা তৈরি করেছিলেন।’’ সে কথা অবশ্য মানেননি শঙ্কর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bangaon বনগাঁ Strike
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE