Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Cyclone Amphan

এত দিন পরে ঘর ভেঙেছিল কিনা, বোঝা যাবে তো!

বিতর্ক থামাতে ক্ষতিপূরণের জন্য ব্লক দফতরগুলিতে সরাসরি আবেদনের নিয়ম চালু করে প্রশাসন। জুন মাসের শেষ দিকে কয়েক দিন নির্দিষ্ট করে আবেদনপত্র নেওয়া হয়।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২০ ০৫:৩৮
Share: Save:

আমপানে ক্ষতিপূরণের জন্য নতুন করে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হল বৃহস্পতিবার থেকে।

এর আগে আমপানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে তৃণমূলের বহু নেতা, সদস্য, প্রধানদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠে। বিরোধীরাও কোথাও কোথাও বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। চাপের মুখে অনৈতিক ভাবে নেওয়া টাকা ফিরিয়েও দেন কেউ কেউ।

বিতর্ক থামাতে ক্ষতিপূরণের জন্য ব্লক দফতরগুলিতে সরাসরি আবেদনের নিয়ম চালু করে প্রশাসন। জুন মাসের শেষ দিকে কয়েক দিন নির্দিষ্ট করে আবেদনপত্র নেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বহু মানুষ লাইন দিয়ে ফর্ম জমা দেন। সরকারের দাবি, রাজ্যজুড়ে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষকে ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তারপরেও যারা ক্ষতিপূরণ পাননি, বা আগে আবেদনই করেননি— তাঁদের বৃহস্পতি ও শুক্রবার ফের আবেদনপত্র জমা দিতে বলা হয়। সেই মতো এদি ন জেলা জুড়ে বিভিন্ন ব্লক অফিসে সকাল থেকে আবেদন জমা দিতে ভিড় করেন মানুষ। অনেকেই প্রথম বার আবেদন করে টাকা না পেয়ে ফের আবেদন করতে আসেন। আবার অনেকেই কোনও কারণে প্রথমে আবেদন করতে পারেননি। সুযোগ পেয়ে এবার আবেদনপত্র জমা দেন।

এ দিন সকালে ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা, ভাঙড়, জয়নগর ব্লক অফিসে বহু মানুষ আবেদন জমা দিয়েছেন। কোথাও ৫০০, কোথাও ৬০০টি করে আবেদন জমা পড়ে। ব্লক কর্তারা জানান, সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে অনেকেই এ দিন ব্লক আবেদন জমা দিতে পারেননি। শুক্রবার আরও ভিড় হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

ভাঙড় ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আমপানের ক্ষতিপূরণের জন্য ফের আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। যাঁরা সরাসরি আবেদনপত্র জমা দিতে চান, তাঁরা ব্লক অফিসের মধ্যে নির্দিষ্ট পঞ্চায়েতের ড্রপবক্সে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। যাঁরা আসতে পারবেন না তাঁরা অনলাইনের মাধ্যমেও আবেদনপত্র জমা করতে পারেন। আমরা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে জেলায় পাঠিয়ে দেব।”

বিভিন্ন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের দাবি, দরখাস্ত জমা পরার পরে সেগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে সরেজমিনে তদন্ত করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে পাঠানো হবে ক্ষতিপূরণের জন্য। কিন্তু স্থানীয় অনেকেই বলছেন, ঝড়ের প্রায় তিন মাস পরে ক্ষতিগ্রস্ত কোনও বাড়িই আর আগের জায়গায় নেই। প্রত্যেকেই সাধ্য মতো মেরামত করে নিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে ক্ষতির পরিমাণ বিবেচিত হবে, তা নিেয় উঠছে প্রশ্ন। প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘বাড়ি নতুন করে তৈরি হয়েছে, নাকি পুরনো— তা দেখে বোঝা যাবে অসুবিধা হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cyclone Amphan Cyclone
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE