Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
বাজার-আগুন

বাজারে নেই কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা

বাগড়ি মার্কেটে আগুন লাগার পর জেলার বাজারগুলি সরেজমিনে দেখা হল। জেলাতেও বহু পুরনো বাজার আছে। কেমন আছে সেগুলি। কতটা নিরাপদ? খোঁজ নিল আনন্দবাজার। আজ বাদুড়িয়া বাজার। প্রায় আশি বছরের পুরনো ওই বাজারে রয়েছে দেড়শোরও বেশি দোকান।  চালপট্টি থেকে শুরু করে মুদিখানা, মাছ, আনাজ, মনোহারি, দশকর্মা-সহ নানা দোকান। রয়েছে কাঠের বড় গুদামও।

বেহাল: এই সরু গলি দিয়েই ঢুকতে হয় বাজারে।

বেহাল: এই সরু গলি দিয়েই ঢুকতে হয় বাজারে।

দিলীপ নস্কর
ডায়মন্ড হারবার: শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:১২
Share: Save:

বাজারে ঢোকার পাঁচটি রাস্তা। কিন্তু বেশির ভাগই সরু গুলি। কোনও রকমে একটি ভ্যান ঢুকতে পারে।

রাস্তার দু’ধারে সারি দিয়ে বসেছে ফল-আনাজের দোকান। তার মধ্যেই অটো-টোটোর লম্বা লাইন। বড় গাড়ি ঢুকলে তো আর রক্ষে নেই। আগুন লাগলে যানজটের জেরে দমকলের গাড়ি ঢুকতেই পারবে না।

যত্রতত্র পড়ে আবর্জনা। বাজারে জট পাকিয়ে রয়েছে বিদ্যুতের তার।

স্টোভ জ্বালিয়ে অনায়াসে চলছে ঘুগনি-আলুর দমের দোকান।

বাগড়ি মার্কেটে আগুন লাগার পর এই পরিস্থিতিতে ডায়মন্ড হারবার স্টেশন বাজারের ব্যবসায়ীরাও চিন্তিত।

প্রায় আশি বছরের পুরনো ওই বাজারে রয়েছে দেড়শোরও বেশি দোকান। চালপট্টি থেকে শুরু করে মুদিখানা, মাছ, আনাজ, মনোহারি, দশকর্মা-সহ নানা দোকান। রয়েছে কাঠের বড় গুদামও। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত শ’য়ে শ’য়ে মানুষ ওই বাজারে কেনাকাটা করতে আসেন। অথচ ওই বাজারটিতে অগ্নি নির্বাপণের কোনও ব্যবস্থাই নেই। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, আগুন লাগলে যানজটের জন্য দমকলের বাজারে ঢুকতেই সময় লেগে যাবে। ততক্ষণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাবে।

বাজারের মধ্যে তারের জট। নিজস্ব চিত্র

ডায়মন্ড হারবারের পুরপ্রধান মীরা হালদার বলেন, ‘‘স্টেশন বাজারের পরিকাঠামোর উন্নয়নের খুব দরকার। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’’

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ, লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা হয় এই বাজারে। কোনও ভাবে বাজারে আগুন লাগলে পথে বসতে হবে তাঁদের।

স্থানীয় বাসিন্দা জয় দাস, তিমির মণ্ডলরা বলেন, ‘‘বাজারে সারাদিন বহু টাকার লেনদেন হয়। অথচ বাজারে ঢোকার রাস্তার বেহাল দশা। একটা ভ্যান ঢুকলেই পথচারীদের দাঁড়িয়ে পড়তে হয়। বিদ্যুৎ লাইনের তারগুলিও মাকড়সার জালের মতো রয়েছে। যে কোনও দিন শর্ট সার্কিট হতে পারে।’’

ওই বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক গোপাল টিকাদার বলেন, ‘‘আমাদের শুধু কমিটিই আছে। কিন্তু বাজারের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য কোনও কিছু করা হচ্ছে না। সব থেকে বড় দুশ্চিন্তা হল, দমকল ঢুকবে কী করে?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Market Fire Fire Extinguisher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE