প্রতীকী ছবি।
ফুটবল খেলার পরে ঝিলে স্নান করতে নেমেছিল ছয় বন্ধু। সাঁতার কাটতে কাটতে তিন জন চলে গিয়েছিল ঝিলের খানিকটা গভীরে। আচমকাই এক কিশোর তলিয়ে যেতে থাকে। বাকি দু’জন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছিল। তারাও সম্ভবত আর দম রাখতে পারেনি। তিন জনই ডুবে যায়। কিছু ক্ষণ পরে স্থানীয় জেলে ও ডুবুরিরা অচৈতন্য অবস্থায় তিন কিশোরকে জল থেকে তোলেন। হাসপাতালে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ পঞ্চায়েতের জগদিপোতা এলাকায়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঝিল হলেও আদতে সেটি মাছের ভেড়ি। সামনের দিকে গভীরতা কম থাকলেও মাঝখানে জলের গভীরতা অনেক বেশি। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ছয় কিশোর গঙ্গানগর ও যমুনানগর এলাকার বাসিন্দা। যে তিন জন মারা গিয়েছে, তাদের নাম রনক দাস (১৭), শুভজিৎ অধিকারী (১৯) এবং শান রায় (১৪)। তাদের সঙ্গে ঝিলে নেমেছিল বিশাল মিস্ত্রি, সুরজিৎ রায় ও চরণ ঢালি নামে আরও তিন বন্ধু।
তদন্তকারীরা জানান, রনক, শুভজিৎ ও শান বেশ গভীরে চলে গিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, বহুক্ষণ ফুটবল খেলে সাঁতার কাটতে নামায় তারা দম হারিয়ে ফেলে। হঠাৎই তলিয়ে যেতে থাকে রনক। শুভজিৎ ও শান বন্ধুকে উদ্ধার করার চেষ্টা করলেও পারেনি। তিন জনই ডুবে যায়। ঝিলের অন্য দিকে ছিল বিশাল, সুরজিৎ ও চরণ। শুভজিৎদের ডুবে যেতে দেখে তারা চিৎকার শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন কয়েক জন জেলে। পাশেই পঞ্চসায়র থানা থেকে কলকাতা পুলিশের ডুবুরিদের খবর দেওয়া হয়। পৌঁছয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশও। স্থানীয় জেলে ও ডুবুরিরা রনক, শুভজিৎ ও শানকে অচৈতন্য অবস্থায় জল থেকে তোলেন। এম আর বাঙুর হাসপাতালে ওই তিন কিশোরকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
চরণ বলে, ‘‘আমরা তিন জন সব সময়ে ঝিলের সামনের দিকে স্নান করি। কিন্তু শুভজিতেরা সাঁতার কেটে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। দম হারিয়ে যাওয়ায় আর ফিরতে পারছিল না। আমরা দূর থেকে ওদের দেখে তা বুঝতে পেরে গিয়েছিলাম। তাই সকলকে ডাকাডাকি শুরু করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy