Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Education

উজ্জ্বল দুই জেলার আরও তিন পড়ুয়া

৬৮৫ নম্বর পেয়ে অষ্টম হয়েছে বনগাঁর শক্তিগড় এলাকার বাসিন্দা মঞ্জুষ হালদার। বনগাঁ হাইস্কুলের ছাত্র মঞ্জুষও স্কুলে বরাবর প্রথম হয়েছে। ফল প্রকাশের পরে ইতিমধ্যে পরবর্তী লক্ষ্যও ঠিক করে ফলেছে সে।

অস্মি চৌধুরী, মঞ্জুষ হালদার ও সৌম্যদীপ সর্দার

অস্মি চৌধুরী, মঞ্জুষ হালদার ও সৌম্যদীপ সর্দার

নিজস্ব সংবাদদাতা
বনগাঁ ও জয়নগর শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২০ ০১:০৪
Share: Save:

অশোকনগরের হরিপুরের বাসিন্দা অস্মি চৌধুরী এ বার মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় ষষ্ঠ স্থান লাভ করেছে। অশোকনগর বাণীপীঠ উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী অস্মির প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। অস্মির স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া। সে জানায়, অবসরে কবিতা ও গল্পের বই পড়তে ভাল লাগে। আর ভালবাসে ছবি আঁকতে ও রান্না করতে। স্কুলে সে শুরু থেকেই প্রথম হয়ে আসছে। তার কথায়, ‘‘পরীক্ষা ভাল দিয়েছিলাম। আশা ছিল মেধাতালিকায় থাকব। সে কারণেই এ দিন টিভির সামনে বসে ছিলাম। ভাল লাগছে।’’ অস্মির বাবা অমিতাভ চৌধুরী বনগাঁ হাইস্কুলের শিক্ষক। প্রতিটি বিষয়ে গৃহশিক্ষক থাকলেও, জীবন বিজ্ঞান বাবার কাছেই পড়েছে অস্মি। এ দিন তার সাফল্যের খবরে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিধায়ক ধীমান রায়-সহ বহু মানুষ।

৬৮৫ নম্বর পেয়ে অষ্টম হয়েছে বনগাঁর শক্তিগড় এলাকার বাসিন্দা মঞ্জুষ হালদার। বনগাঁ হাইস্কুলের ছাত্র মঞ্জুষও স্কুলে বরাবর প্রথম হয়েছে। ফল প্রকাশের পরে ইতিমধ্যে পরবর্তী লক্ষ্যও ঠিক করে ফলেছে সে। বাড়িতে মিষ্টি মুখ করার ফাঁকে মঞ্জুষ বলে, "ভবিষ্যতে গবেষণা করতে চাই। বিশেষ করে কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়ে।’’ ভাল ফল করলেও কোনও নির্দিষ্ট সময় মেনে পড়েনি বলেই জানায় মঞ্জুষ। যখন ইচ্ছে হত পড়ত। টেস্টে ৬৬৩ নম্বর পায় মঞ্জুষ। প্রত্যাশিত নম্বর না পেয়ে তখন থেকেই চূড়ান্ত পরীক্ষায় ভাল করার সংকল্প নিয়ে নেয়। রবীন্দ্রনাথের গানের ভক্ত মঞ্জুষ ভাল গানও করে। আগে ক্লাসিক্যাল গান করত সে। এখন করে আধুনিক গান। রবীন্দ্রনাথের ব্রহ্মসঙ্গীত তার সব থেকে পছন্দের। সাফল্যের পিছনে বাবা মা এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকাই বেশি বলে জানায় সে। ছেলের সাফল্যে খুশি বাবা দেবাশিস ও মা মৌমিতা।

৬৮৫ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় অষ্টম হয়েছে জয়নগরের দক্ষিণ বারাসত শিবদাস আচার্য উচ্চ বিদ্যালয়ের সৌম্যদীপ সর্দার। বেলিয়াডাঙা পুরকাইত পাড়ার বাসিন্দা সৌম্যদীপের বাবা মাধব সর্দার সরকারি চাকুরে। ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল সৌম্যদীপ। বড় হয়ে গবেষক হতে চায় সে। তার কথায়, “নিজের সেরাটা দিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। বাবা-মা, গৃহশিক্ষক, স্কুলের শিক্ষকেরা সকলেই সাহায্য করেছেন। পরীক্ষা ভাল হয়েছিল। তবে মেধাতালিকা নিয়ে ভাবিনি। ভবিষ্যতে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছে আছে।”

শিবদাস আচার্য্য উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “এই স্কুল থেকে প্রথম কেউ মেধাতালিকায় জায়গা করে নিল। মেধার পাশাপাশি সৌম্যদীপের জানার আগ্রহ প্রবল। ভাল ফল করবে জানতাম। তবে মেধাতালিকায় স্থান পাবে সত্যিই ভাবতে পারিনি। ওর আগামী দিনের জন্য শুভেচ্ছা রইল।” এ দিন পুলিশের তরফে সৌম্যদীপের বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানান জয়নগর থানার আইসি অতনু সাঁতরা। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস-সহ অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Education
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE