Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Lok Sabha Election 2019

বারাসতে ধৃত ভিন্‌ রাজ্যের তিন গাড়িচালক

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তৃণমূল কর্মীদের দাবিমতো ঘরে ঢুকে নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হয়।

ফ্লেক্স-ছেঁড়া: মঙ্গলবার অশোকনগরে তোলা নিজস্ব চিত্র

ফ্লেক্স-ছেঁড়া: মঙ্গলবার অশোকনগরে তোলা নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ০০:০৭
Share: Save:

বারাসতে ঢুকছে বহিরাগতেরা, বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে সোমবার গোলমালে জড়িয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী-কমর্থকেরা। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের দায়ের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় গ্রেফতার হল ভিন্‌ রাজ্যের তিন গাড়িচালককে। সোমবার রাতে বিজেপি নেতা তুহিন মণ্ডলের বাড়ি থেকে পুলিশ ওই তিন জনকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে পাঁচটি গাড়িও।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার রাতে বিজেপি-র বারাসত সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক তুহিনবাবুর বাড়িতে বৈঠক হচ্ছিল। সেখানে হাজির ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেননও। বহিরাগতেরা সেখানে অস্ত্র ও টাকা বিলি করছে, এই অভিযোগ তুলে তৃণমূলকর্মীরা সেখানে গিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সেখানেই রাজু সিংহ, প্রণবেশ রায় ও ইন্দ্রদেব যাদব নামে তিন জন গাড়িচালককে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত রাজু ও প্রণবেশ বিহারের এবং ইন্দ্রদেব ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। তুহিনবাবুর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা গাড়িগুলির মধ্যে একটিতে সরকারি ‘তিন তারা’ লাগানো ছিল। বিধি ভেঙে তারা ব্যবহার করার অভিযোগে পুলিশ পাঁচটি গাড়িই বাজেয়াপ্ত করে।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা ভোটের আগে এ রাজ্যে ঢুকে অশান্তি বাধাতে চাইছে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার বারাসতের বিভিন্ন হোটেলে হানা দেয় বারাসাত থানার পুলিশ। কিন্তু তল্লাশি চালিয়েও কিছু পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে একটি হোটেলে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ হয় বিজেপি নেতাদের। এর পরেই স্থান পরিবর্তন করে সেদিন রাতেই তুহিনবাবুর বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার দলীয় নেতারা। সেখানেই এসেছিল ওই গাড়িগুলি। অভিযোগ, সেই সময়ে ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তৃণমূল কর্মীদের দাবিমতো ঘরে ঢুকে নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হয়। এর পরে ওই বিজেপি নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারাসত থানাতেও নিয়ে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে থানায় যান বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং জেলা বিজেপি নেতা তাপস মিত্র। সেখানে থানার মধ্যেই দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে গোলমাল বাধে। কোনও মতে সে সময়ে পরিস্থিতি সামলায় পুলিশ।

কাকলির অভিযোগ, ‘‘বিজেপি-র বহিরাগত নেতা-কর্মীরা ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারের গাড়ি নিয়ে অস্ত্র ও টাকা বিলি করছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি-র জেলা সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অবস্থা এমন হয়েছে যে, বিজেপি-র কোনও নেতা বৈঠকও করতে পারছে না। তল্লাশি করে কিছুই না পেয়ে পুলিশের সামনেই বাড়িতে ঢুকে মারধর, ভাঙচুর করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Barasat West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE