গণেশ দাস
গ্রেফতারই করা হল নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ গণেশ দাসকে। তাঁর বিরুদ্ধে দলেরই নেতাকে খুনের চেষ্টা, তোলাবাজি-সহ একাধিক ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালত গণেশ এবং তাঁর তিন শাগরেদকে সাত দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে।
নৈহাটির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি মনোজ দাসের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই তোলা চেয়ে গণেশ তাঁকে হুমকি দিচ্ছিলেন। পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দলেরই নেতা অভিযোগ করেছেন। তাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে কাউন্সিলরকে। আইন আইনের পথে চলবে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’’
মনোজ বালির ব্যবসা করতেন। সরকার বালি খাদান বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পরে কারবার বন্ধ বলেই তাঁর দাবি। আপাতত একটি ইটভাটা ইজারায় নিয়ে চালাচ্ছেন। মনোজের অভিযোগ, দেড় বছর আগে থেকে গণেশ তাঁর থেকে তোলা চাইছিলেন। রাজি হননি মনোজ। অভিযোগ, তারপর থেকে চলছিল ক্রমাগত হুমকি। মনোজের দাবি, সোমবার লোকজন এনে তাঁর উপরে হামলা চালান গণেশ। বুকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে খুনের হুমকি দেন। শূন্যে গুলিও চালান। এলাকার লোকজন এসে পড়ায় ধরা পড়ে যান গণেশ ও তাঁর তিন সঙ্গী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা গরিফা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ ছিল, গঙ্গার পাড় থেকে মাটি কেটে পাচার হচ্ছে। তারপরেই সোমবার রাতে মনোজের উপরে গণেশ লোকজন এনে হামলা চালান বলে অভিযোগ। গণেশের অনুগামীদের অভিযোগ, মনোজই বেআইনি ভাবে মাটি কেটে বিক্রি করতেন। বেআইনি বালির কারবারও আছে তাঁর। সে কথা অবশ্য মানছেন না মনোজ।
গণেশের বিরুদ্ধে দলের অন্দরে অভিযোগ ভুরি ভুরি। তিনি দলের নেতাদের মানেন না, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের কারও কারও নামে বিষোদ্গার করেন। একাধিকবার তাঁকে সতর্ক করা হলেও তিনি শোধরাননি বলে অভিযোগ দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের। তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গণেশ ধরা পড়ায় দলের স্থানীয় নেতাদের একটা অংশ সন্তুষ্ট। গ্রেফতার হওয়ার পরে গণেশের পদ থাকবে কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy